scorecardresearch
 
Advertisement

VIDEO : অমানবিক! ৪ বছর ধরে শিকলবন্দি যুবক

VIDEO : অমানবিক! ৪ বছর ধরে শিকলবন্দি যুবক

প্রায় ৪ বছর ধরে বাড়ির সামনে গাছের সাথে শেকল বাঁধা যুবক। শেকল বাঁধা অবস্থায় থাকতে থাকতে দগদগে ঘা হয়ে গেছে পায়ে। কোনও চতুস্পদ পোষ্যর থেকেও দূর্বিষহ জীবন। মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নম্বর ব্লক এলাকার ভালুকা গ্রাম পঞ্চায়েতের একবালপুর গ্রামের ঘটনা।পরিবারের দাবি,যুবক মানসিক ভারসাম্যহীন। ওঝা গুনি থেকে শুরু করে চিকিৎসক সকলের কাছেই ছুটতে ছুটতে আজ কপর্দকহীন পরিবার। নিয়মিত রোজকার অন্ন জোগার করাই এখন দায় হয়েছে। শাসকদলের গ্রাম-পঞ্চায়েতের দ্বারস্থ হয়ে, প্রধান, মেম্বারের হাতে পায়ে ধরেও ফল হয়নি। বিধায়ক, জেলা পরিষদ সদস্যকে বহুবার বলার পরেও ঘুরে তাকাননি কোনও জন-প্রতিনিধি। তৈরি হয়নি যুবকের প্রতিবন্ধী সার্টিফিকেট। চিকিৎসার ব্যবস্থা দূর অস্ত সরকারি রেশনটুকুও যথাযথ পায় না পরিবার। এই পরিস্থিতিতে আমাদের ক্যামেরার সামনে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে কেঁদে কেঁদে এই যন্ত্রণা থেকে মুক্তির আবেদন জানিয়েছেন যুবকের পরিবার। যুবকের নাম সেলিম আকতার। বয়স (১৯)। জরাজীর্ণ মাটির বাড়ির সামনে একটা গাছে শেকল বাঁধা। দিনের পর দিন।বছরের পর বছর। বৃষ্টি হলে মাথা গোঁজার ঠাঁই মেলে ঘরের দাওয়ায়,নচেৎ গাছের নীচেই ঠিকানা। সেলিমের দাদা হারুন রশিদ এবং মা লাইলি বিবিও মানসিক ভারসাম্যহীন। ঘর ছাড়া তাঁরা। গ্রামের লোকজন কখনো তাঁদের দেখতে পান কখনো পান না। ছোটো ভাই আসিফ সুস্থ। বাবা জাকির হোসেন আর ঠাকুর্দা আব্দুল হক দিনমজুর। আর তা দিয়েই চলে সংসার। দুর্বিষহ যন্ত্রণার মধ্যে যখন এই পরিবার তখন অন্যদিকে তাঁদের নিয়ে তরজায় মাঠে নেমে পড়েছে দুই যুযুধান রাজনৈতিক দল, তৃণমূল আর বিজেপি। বিজেপির অভিযোগ তৃণমূল আসলে প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি। গরীবের খোঁজ ওরা রাখে না। কাটমানির সরকার। অন্যদিকে পাল্টা অভিযোগ তুলে তৃণমূলের বক্তব্য, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে গরীবের স্বার্থের সরকার। তাই দলগত ভাবেই ওই পরিবারের পাশে সব রকম ভাবে পাশে থাকবে তৃণমূল।

Advertisement