কাবুল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভয়ানক বন্দুকবাজের হামলা। এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্য ১৯। গোটা বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর ঘিরে রেখেছে নিরাপত্তা বাহিনী।
কাবুল বিশ্ববিদ্যালয়ে বইমেলা চলাকালীন হামলাটি হয়। মোট ৩ জন বন্দুকবাজ এই হামলা চালায় বলে জানা গিয়েছে। গুলিযুদ্ধে ২ জনকে নিকেশ করে সেনা এবং অপরজন নিজেদের বিস্ফোরণেই মারা যায়। আফগানিস্তানের সরকারি হিসাব অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ১৯। আহতের সংখ্যা ২২। তবে কোনও জঙ্গি সংগঠন হামলার দায় স্বীকার করেনি। তালিবানের তরফে থেকে জানানো হয়েছে, এই ঘটনায় তারা যুক্ত নয়।
হামলার সময়ে ওই বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে কমপক্ষে ৮০০ জন উপস্থিত ছিলেন। বইমেলা অনুষ্ঠিত হওয়ায় পড়ুয়া বাদেও আশেপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রচুর মানুষ এসেছিলেন। নিরাপত্তার ফাঁক গলে বইমেলার ব্যস্ত সময়ে হামলা চালায় আততায়ীরা। পুলিশের মতে, কয়েকশো রাউন্ড গুলি চালিয়েছে বন্দুকবাজরা। আচমকা গুলির শব্দে গোটা বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে হুড়োহুড়ি শুরু হয়ে যায়। অনেকে পড়ে গিয়ে গুরুতর চোট পান।
পুলিশের ধারণা, ছক কষেই এই সময়ে হামলা চালানো হয়। সন্ধ্যা গড়াতেই হামলাটি হয়। বইমেলায় সেই সময়ে বিদেশের প্রচুর নাগরিকও ছিলেন। তবে হামলায় বিদেশের নাগরিক কেউ মারা গিয়েছেন কিনা, সেটা এখনও জানা যায়নি। হামলার কথা জানতে পেরে মুহূর্তের মধ্যে ঘটনাস্থলে পৌছায় নিরাপত্তা বাহিনী। প্রায় ৫ ঘণ্টা চলে গুলিযুদ্ধ। উদ্ধার হয় প্রচুর বিস্ফোরক ও অস্ত্রশস্ত্র। যে দেখে অনুমান করা হচ্ছে বড় পরিকল্পনা করেই এই হামলা চালানো হয়েছে।
হামলার কায়দা দেখে পুলিশের সন্দেহ জঙ্গিদের হাত রয়েছে। কোনও জঙ্গি সংগঠন ঘটনার দায় স্বীকার করেনি। অন্যদিকে, তালিবানও জানিয়ে দিয়েছে তারা হামলায় যুক্ত নয়। এই মুহূর্তে আমেরিকার সঙ্গেও শান্তি প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা চলছে। এমন সময়ে এই হামলা নিয়ে ভাবাচ্ছে আফগান সরকারকেও। সমস্ত দিক খতিয়ে দেখেই পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। আপাতত ওই বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে কড়া নিরাপত্তার বেষ্টনীতে মুড়ে ফেলা হয়েছে।