২৩ বছরের যুবকের সঙ্গে প্রেম করছেন ৫০-এর মহিলা। লোকে তা নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েন না। অনেকে তো মা-ছেলে বলেও মনে করেন। তবে ভালোবাসার বয়স হয় না। এই নীতি নিয়ে চুটিয়ে প্রেম করছেন এক যুবক ও মহিলা। দুজনের মধ্যে বয়সের পার্থক্য ২৭ বছর। ওই মহিলার নাম চেরি স্যালিনাস। তাঁর এক ছেলেও রয়েছে। যাঁর বয়স ওই মহিলার বয়ফ্রেন্ড মিকি সোয়ারিংটনের সমান। মিকি বলেন, 'আমাদের দেখে অনেকেই মা ও ছেলে বলে মনে করেন। অনেকে তো মুখের উপর বলেও দেন। তবে আমরা পরোয়া করি না। আমি কখনই বিশ্বাস করি না যে, সাধারণ মানুষের কাছে আমাদের সম্পর্কের প্রমাণ দিতে হবে।'
মিরর ইউকে-এই প্রতিবেদন তুলে ধরেছে। মিকি আরও বলেন, 'আমরা শুধু খুশি থাকতে চাই। আমাদের সম্পর্ক নিয়ে যদি কারও কোনও আপত্তি থাকে তাহলে তারা বলুক।' চেরির স্বামীর মৃত্যুর পর তিনি একাকীত্বে ভুগতে থাকেন। তা কাটানোর জন্য সম্পর্ক তৈরির আগ্রহ দেখান। ২০১৩ সালের এপ্রিল মাসে টিন্ডারে মিকির সঙ্গে আলাপ হয় ওই চেরির। তারপর তা প্রেমের রূপ পায়।
মিকি জানান, তিনি বয়স্ক মহিলাদের প্রতি আকর্ষণ অনুভব করতেন। এর আগেও তাঁর সঙ্গে অনেক বয়স্ক মহিলার সম্পর্ক হয়েছে। তবে চেরির মতো ভালোবাসেননি কাউকে। এভাবেই চলছিল সম্পর্ক। তাঁরা দুজনেই সম্পর্কের কথা পরিবারকে জানায়। কিন্তু বয়সের এত পার্থক্যে খুশি ছিলেন না মিকির মা।
তবে মিকির মা যখন চেরির সঙ্গে সময় কাটান তখন তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি বদলে যায়। এখন দুজনেই ভালো বন্ধু। মিকি বলেন, 'এমন কোনও সম্পর্ক দেখে লোক সিঁটকাবে, পিছনে অনেক কথা বলবে, সেটাই স্বাভাবিক। তবে আমরা দুজনে খুশি। সেটাই সব থেকে বড় ব্যাপার।' এই সম্পর্কের প্রতি পূর্ণ সমর্থন রয়েছে চেরির পরিবারও। চেরি বলেন, 'আমার পরিবারের অনেক লোক মিকির সঙ্গে দেখা করেনি, কিন্তু তারা আমাকে সমর্থন করে এবং খুশি কারণ আমি খুশি। আমার ছেলে তার সঙ্গে দেখা করেছে।'
মিকি বলেছেন, 'মানুষের বয়সের ব্যবধানের সম্পর্ক নিয়ে একটি ভুল ধারণা রয়েছে। তারা এইরকম সম্পর্ককে সাধারণ চোখে দেখেন না। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সবাই সব মেনে নেয়।' চেরি বলেন, 'আমাদের মতো সম্পর্ক নিয়ে অনেক মিথ আছে এবং বেশিরভাগই ভুল। লোকেরা যাই বলুক না কেন আমরা একসাথে থাকতে পছন্দ করি।