scorecardresearch
 

প্রথম ডোজেই কড়া সুরক্ষা! প্রতিশ্রুতি ফাইজার ভ্যাকসিনের

টিকা দেওয়ার ১০ দিনের মধ্যেই প্রথম ডোজ থেকে সেই সুরক্ষা তৈরি হচ্ছে দেহে। ভ্যাকসিন অ্যাডভাইসরি গ্রুপের সঙ্গে বৈঠকের আগে ফুড অ্যান্ড ড্রাগস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ)-এর তরফে এমনটা জানান হয়।

Advertisement
জরুরি অনুমোদন চাওয়ার কাজ এগিয়েছে ফাইজার। জরুরি অনুমোদন চাওয়ার কাজ এগিয়েছে ফাইজার।
হাইলাইটস
  • ভ্যাকসিনের ডোজ দেওয়ার তিন সপ্তাহ বাদে আরেকটি ডোজ দিতে হবে
  • টিকা দেওয়ার ১০ দিনের মধ্যেই প্রথম ডোজ থেকে সেই সুরক্ষা তৈরি হচ্ছে দেহে
  • ফলে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার আগেই দেহে সুরক্ষাবলয় তৈরি করতে সক্ষম হচ্ছে এই ভ্যাকসিন

মার্কিন সংস্থা ফাইজার এবং জার্মান সংস্থা বায়োএনটেকের যৌথভাবে তৈরি করোনা ভ্যাকসিন এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে কড়া সুরক্ষা দিচ্ছে। এই টিকা দেওয়ার ১০ দিনের মধ্যেই প্রথম ডোজ থেকে সেই সুরক্ষা তৈরি হচ্ছে দেহে। ভ্যাকসিন অ্যাডভাইসরি গ্রুপের সঙ্গে বৈঠকের আগে ফুড অ্যান্ড ড্রাগস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ)-এর তরফে এমনটা জানান হয়। 

ফাইজারের ভ্যাকসিনের কার্যকারীতা এবং নতুন ফলাফলের তথ্য বিশ্লেষণও করা হয়েছে এফডিএ এবং ফাইজারের তরফে। গত মাসেই ফাইজার জানায় যে এই ভ্যাকসিনের কার্যকারীতা ৯৫ শতাংশ। প্রসঙ্গত, এটি একটি টু-ডোজ ভ্যাকসিন (Two Dose Vaccine)। একটি ডোজ দেওয়ার তিন সপ্তাহ বাদে আরেকটি ডোজ দিতে হবে। 

নতুন তথ্য থেকে জানা যাচ্ছে যে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার আগেই দেহে সুরক্ষাবলয় তৈরি করতে সক্ষম হচ্ছে এই ভ্যাকসিন। এখনও পর্যন্ত এই ভ্যাকসিনের ট্রায়াল থেকে কোনও মারাত্মক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হচ্ছে এমন কিছু পাওয়া যায়নি।  তবে অনেক স্বেচ্ছাসেবকের গায়ে ব্যথা, জ্বরের মতো উপসর্গ দেখা দিচ্ছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ইতিমধ্যেই জরুরি অনুমোদন চাওয়ার কাজ এগিয়েছে ফাইজার। 

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা-সহ একাধিক দেশে জুলাই থেকে তাঁদের ভ্যাকসিনের ট্রায়াল চালিয়ে আসছে ফাইজার। এখনও পর্যন্ত ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজের যা কার্যকারীতা তা আশা দেখালেও এখনও একটি বিষয় স্পষ্ট নয় তা হল এই ভ্যাকসিনের সুরক্ষার স্থায়ীত্বকাল। তবে দ্বিতীয় ডোজের পর সেই স্থায়ীত্বকাল কিছুটা বাড়বে বলেই আশা করা হচ্ছে।

সম্প্রতি, মার্কিন সেনেটর পল যেমন জানিয়েছেন ভ্যাকসিনের কার্যকারীতা ৯০ শতাংশ এবং ৯৪.৫ শতাংশ সেখানে স্বাভাবিক ভাবে যারা করোনা মুক্ত হচ্ছে সেই কার্যকারীতা ৯৯.৯৯ শতাংশ। অর্থাৎ ভ্যাকসিনের থেকে অনেকাংশে ভাল। উল্লেখ্য এই সেনেটর নিজেও করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন। যদিও সেনেটরের এই লজিক মানতে নারাজ টরেন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমিউনোলজিস্ট জেনিফার গোমেরম্যান। তিনি জানিয়েছেন স্বাভাবিক ভাবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হওয়া এবং করোনার মত ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করে সুস্থ হওয়া নি:সন্দেহে ভাল। কিন্তু এর সঙ্গে ভ্যাকসিনের তুলনা হয় না।

Advertisement

Advertisement