রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদ বা UNSC-তে ভারতকে স্থায়ী সদস্য করার দাবি দীর্ঘদিনের। এবার এই দাবিতে সওয়াল করল ব্রিটেন। নিরাপত্তা পরিষদে ভারতকে যাতে স্থায়ী সদস্য করা হয়, তার জন্য অতীতে সরব হয়েছিল ফ্রান্স এবং আমেরিকা। এবার ভারতের পাশে থেকে একই দাবি জানাল ব্রিটেন।
বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রসঙ্ঘের সাধারণ সভায় বক্তৃতায় ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টার্মার বলেন যে, নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য করা হোক ভারতকে। অতীতে এই দাবি করেছিলেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমান্যুয়েল ম্যাক্রোঁ। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, 'নিরাপত্তা পরিষদকে বদলাতে হবে। আরও সদস্যদের অন্তর্ভুক্ত করা হোক।' তাঁর সংযোজন, 'নিরাপত্তা পরিষদে আফ্রিকা মহাদেশ থেকে স্থায়ী সদস্য থাকা উচিত। এছাড়া ভারত, ব্রাজিল, জাপান, জার্মানিকে স্থায়ী সদস্যপদ দেওয়া হোক।' আমেরিকা এবং ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের পর রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদে ভারতকে স্থায়ী সদস্য করা নিয়ে যে দাবি ব্রিটেন জানাল, তা এই পর্বে নয়া মাত্রা যোগ করল বলেই মনে করা হচ্ছে।
এই মুহূর্তে রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদে স্থায়ী সদস্যের সংখ্যা ৫। অস্থায়ী সদস্য দেশের সংখ্যা ১০। রাষ্ট্রসঙ্ঘের সাধারণ সভায় ২ বছরের জন্য অস্থায়ী সদস্যদের নির্বাচিত করা হয়। ৫ স্থায়ী সদস্য দেশ হল রাশিয়া, ব্রিটেন, চিন, ফ্রান্স এবং আমেরিকা।
৫ স্থায়ী সদস্য দেশের মধ্যে ৩ দেশই ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছে। আমেরিকা,ফ্রান্সের পর ব্রিটেনও ভারতকে স্থায়ী সদস্য করার দাবিতে সওয়াল করেছে। যা তাৎপর্যপূর্ণ। এর ফলে আগামী দিনে ভারতের স্থায়ী সদস্য হওয়ার পথ খানিকটা মসৃণ হল বলেই মনে করা হচ্ছে। রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের সুসম্পর্কের কথা সর্বজনবিদিত। কিন্তু,চিনের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক একেবারেই ভাল নয়। সীমান্ত ইস্যুতে গত কয়েক বছর ধরেই ভারত-চিন সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছে। তাই বাকি দেশগুলি ভারতকে সমর্থন জানালেও বাদ সেধেছে চিন। সেকারণে স্থায়ী সদস্য হওয়ার রাস্তা সহজ হবে না ভারতের জন্য। বাকি দেশগুলির চাপে চিনের এহেন 'পথের কাঁটা' সরিয়ে ভারত শেষ পর্যন্ত স্থায়ী সদস্যপদ পায় কি না, এখন সেটাই দেখার।