AL Qaeda Chief Killed: ড্রোন হামলায় আল-কায়েদা প্রধান আল-জাওয়াহিরিকে খতম করল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। আল জাওয়াহিরি ওসামা বিন লাদেনের মৃত্যুর পর জঙ্গি সংগঠন আল কায়েদার প্রধান ছিল। জানা গিয়েছে, জাওয়াহিরি কাবুলের একটি বাড়িতে লুকিয়ে ছিলেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আল-জাওয়াহিরির মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, জাওয়াহিরি ৯-১১-এর ষড়যন্ত্রে জড়িত ছিল। সেই হামলায় ২,৯৭৭ জন মারা গিয়েছিলেন।
কীভাবে হামলা
সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাওয়াহিরি কাবুলে আশ্রয় নিয়ে থাকছিল। মার্কিন অফিসারদের মতে, ওই বাড়িতে ড্রোন হামলা চালানো হয়। সেখানে নিহত হয় জাওয়াহিরি। আমেরিকা এই হামলার জন্য দুটি হেলফায়ার মিসাইল ব্যবহার করেছে। শনিবার রাত ৯টা ৪৮ মিনিটে ড্রোন হামলা চালানো হয়। বলা হচ্ছে, জাওয়াহিরির ওপর হামলার আগে বাইডেন তাঁর মন্ত্রিপরিষদ ও উপদেষ্টাদের সঙ্গে কয়েক সপ্তাহ ধরে বৈঠক করেন। শুধু তাই নয়, সবথেকে তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল এই হামলার সময় কাবুলে কোনও আমেরিকান উপস্থিত ছিলেন না।
তালিবানদের অবস্থান
হাক্কানি তালিবান নেতারা ওই এলাকায় জাওয়াহিরির উপস্থিতি সম্পর্কে অবগত ছিল আগে থেকেই। মার্কিন অফিসাররা বলেছেন এতেই দোহা চুক্তির সুস্পষ্টভাবে লঙ্ঘন হয়েছে। তালেবানও জাওয়াহিরির উপস্থিতি আড়াল করার চেষ্টা করেছিল। এমনকী জাওয়াহিরির ডেরায় যাতে কেউ না পৌঁছাতে পারে সেদিকে বিশেষ নজর দেওয়া ছিল তালিবানদের তরফে। এ জন্য জাওয়াহিরির পরিবারের সদস্যদের অবস্থানও পরিবর্তন করা হয়। তবে যুক্তরাষ্ট্র স্পষ্ট করে বলেছে যে এই হামলায় জাওয়াহিরির পরিবারকে লক্ষ্যবস্তু বা ক্ষতি করা হয়নি। শুধু তাই নয়, আমেরিকা এই অভিযান সম্পর্কে তালিবানকেও জানায়নি।
জাওয়াহিরির পরিচয়
জাওয়াহিরি ১১ বছর ধরে আল কায়েদার প্রধান ছিল। তিনি একসময় ওসামা বিন লাদেনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক ছিল। নিউইয়র্ক টাইমসের মতে, জাওয়াহিরি মিশরের একটি বিশিষ্ট পরিবারে জন্ম। তার দাদা, রাবিয়া আল-জাওয়াহিরি, কায়রোর আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ইমাম ছিলেন। তার ঠাকুরদা আবদেল রহমান আজম আরব লীগের প্রথম সচিব ছিলেন। শুধু তাই নয়, আমেরিকায় সন্ত্রাসী হামলার মূল পরিকল্পনাকারীর ষড়যন্ত্রে সহায়তা করেছিলেন জাওয়াহিরি। ২০০১ সালে ১১ সেপ্টেম্বর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে হামলার পর জাওয়াহিরি আত্মগোপনে করে। এরপর তিনি আফগানিস্তানের পাহাড়ি এলাকা বোরা অঞ্চলে মার্কিন হামলা থেকে বেঁচে যায়। কিন্তু এতে তার স্ত্রী ও সন্তান নিহত হয়। কিন্তু কাবুলে ড্রোন হামলায় জাওয়াহিরির মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি আমেরিকার।