পাকিস্তানের কোয়েটা রেল স্টেশন চত্বরে বড় বিস্ফোরণ। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত অন্তত ২১ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। আহত ৩০ জনেরও বেশি। কোয়েটার সিনিয়র সুপারিনটেনডেন্ট অফ পুলিশ (এসএসপি) মহম্মদ বালুচ জানিয়েছেন, এই ঘটনায় ১৬ জন মারা গিয়েছে। আহত ৩০ জনেরও বেশি। জিও নিউজের রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে ট্রেন প্ল্যাটফর্মে পৌঁছানোর ঠিক আগে রেলস্টেশনের বুকিং অফিসে বিস্ফোরণ ঘটে। রেল কর্তারা জানিয়েছেন, জাফর এক্সপ্রেস সকাল ৯টায় পেশোয়ারের উদ্দেশে যাওয়ার কথা ছিল। স্টেশনে ভিড়ের কারণে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এই বিস্ফোরণের দায় স্বীকার করেছে বালুচ লিবারেশন আর্মি। বালুচ লিবারেশন আর্মির (বিএলএ) মুখপাত্র বলেছেন, “আমরা কোয়েটা রেলস্টেশনে পাকিস্তানি সেনাদের ওপর আত্মঘাতী হামলার দায় স্বীকার করছি। আজ সকালে, কোয়েটা রেলওয়ে স্টেশনে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর একটি ইউনিটের উপর আত্মঘাতী হামলা চালানো হয় । তাঁরা সেনার প্রশিক্ষণ শেষ করে জাফর এক্সপ্রেসে ফিরছিল। বিএলএর আত্মঘাতী ইউনিট মাজিদ ব্রিগেড এই হামলা চালায়। শিগগিরই সংবাদমাধ্যমে বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হবে।'
আগে এসএসপি মহম্মদ বালোচ জানিয়েছেন,ঘটনাটি 'আত্মঘাতী বিস্ফোরণ' বলে মনে হচ্ছে। বিস্ফোরণের ধরণ জানতে তদন্ত চলছে। এর আগে ইধি রেসকিউ সার্ভিসের প্রধান জিশান বলেছিলেন, বিস্ফোরণটি "রেলওয়ে স্টেশনের ভিতরে একটি প্ল্যাটফর্মে ঘটেছে।"
বালোচিস্তান সরকারের মুখপাত্র শাহিদ রিন্দ জানিয়েছেন, কী ধরনের বিস্ফোরক ব্যবহার করা হয়েছিল, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। বোমা নিষ্ক্রীয়কারী দলের থেকে বিস্তারিত রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। সরকারি ওই কর্তা আরও জানান, বিস্ফোরণস্থলের কাছাকাছি হাসপাতালগুলিতে 'আপৎকালীন পরিস্থিতি' জারি করা হয়েছে। আহতদের চিকিৎসা সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। সিসিটিভি ভিডিওয় রেলওয়ে স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে ধ্বংসাবশেষ দেখা গিয়েছে। বিস্ফোরণের সময় প্ল্যাটফর্ম থেকে একটি ট্রেন পেশোয়ার যাওয়ার জন্য দাঁড়িয়েছিল।