কয়েকদিন আগেই গোটা বিশ্ব মায়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থান দেখেছে। যার জেরে আটক হয়েছেন ক্ষমতাসীন দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্র্যাসির নেত্রী আং সান সুকি-সহ তাঁর সহযোগীরা। বিশ্বজুড়ে নিন্দার পরেও পরিস্থিতি পাল্টায়টি মায়ানমারে। এই আবহে ভারতের আরও এক প্রতিবেশী দেশ ভুটানে সামরিক অভ্যুত্থানের ষড়যন্ত্র ফাঁস হল। আপাতত ষড়যন্ত্রের এই ঘটনায় আটক করা হয়েছে দেশের সুপ্রিম কোর্টের সবচেয়ে সিনিয়র বিচারপতি এবং সেনাকর্তাদের।
ভুটানের রাষ্ট্রীয় সংবাদপত্র ‘কুয়েনসেল’ ও ভুটানের জাতীয় সংবাদ সংস্থা বিবিএস জানাচ্ছে, রয়্যাল ভুটান আর্মির অফিসার (আরবিএ), সুপ্রিম কোর্টের এক বিচারপতিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা ভুটানের প্রধান বিচারপতি, সেনাবাহিনির চিফ অপারেশন অফিসার এবং একজন শীর্ষ আইন আধিকারিক-কে সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিল। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদও শুরু হয়েছে।
কুয়েনসেলের খরর অনুযায়ী, সুপ্রিম কোর্টের অন্যতম বিচারপতি কুয়েনলে শেরিং ও রাজকীয় দেহরক্ষী বাহিনির প্রাক্তন কমান্ডার থিনলে টোগবে আর তাদের অনুগামীরা গোপনে ছক করেছিল সেনা বাহিনির চিফ অপারেশন অফিসারকে সরিয়ে দেওয়ার। বুধবারই ভুটান টারশিং এবং পেমেটসেলজ ডংগং এবং টোগবে-কে আটক করে।
রহস্যময়ীর উপস্থিতি
জানা যাচ্ছে এই রহস্যময়ী এই অভ্যুত্থানের ছক কষেছিল। আপাতত পুলিশের জিম্মায় রয়েছেন ওই মহিলা। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই মাথায় হাত পড়েছে পুলিশের। জানা গিয়েছে, দেশের রয়্যাল বডি গার্ডির প্রধান, সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এবং সুপ্রিম কোর্টের অ্যাটর্নি জেনারেল বা রেজিস্ট্রার জেনারেলকে ক্ষমতাচ্যুত করার ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল। যদিও ভুটান সরকার এখনও ওই মহিলার পরিচয় প্রকাশ করেনি। তবে যেটুকু জানা যাচ্ছে তাতে তিনি সরকার ও রাজবাড়ির ঘনিষ্ঠ। প্রচুর প্রভাবশালী আন্তর্জাতিক যোগাযোগ রয়েছে ওই মহিলার।