ভারতের করোনা পরস্থিতি উত্তোরত্তর খারাপ হচ্ছে। দৈনিক সংক্রমণ পৌঁছে গিয়েছে প্রায় তিন লক্ষের ঘরে। সোমবার নতুন রেকর্ড গড়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতের করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ২ লক্ষ ৭৩ হাজার ৮১০ জন। আর এই আবহে ফের একবার বাতিল হল ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বিস জনসনের ভারত সফর। সোমবারই সরকারি ভাবে সফর স্থগিত রাখার কথা জানিয়ে দেয় ব্রিটিশ বিদেশমন্ত্রক।
চলতি মাসেই ৩ দিনের ভারত সফরে আসার কথা ছিল ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের। সবকিছু ঠিক থাকলে ২৬ এপ্রিল ভারতে পা রাখতেন বরিস। তবে বিশ্বজুড়ে করোনা পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর আকার নেওয়ায় সেই সফর আপাতত বাতিলের পথেই এগোলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। ভারত এবং ব্রিটেনের তরফে যৌথ বিবৃতিতে বলা হযেছে, 'বর্তমান করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে আগামী সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ভারতে যেতে পারবেন না। পরিবর্তে ব্রিটেন এবং ভারতের মধ্যে ভবিষ্যতের উচ্চাকাঙ্ক্ষী পরিকল্পনা নিয়ে চলতি মাসের শেষের দিকে ভারচুয়াল আলোচনার বিষয়ে একমত হয়েছেন মোদী এবং জনসন।'
এর আগে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন সফর কাটছাঁট করার বিষয়ে চিন্তাভাবনা করছিল সেদেশর বিদেশমন্ত্রক। অর্থাৎ আগের তুলনায় সফর সূচি অনেকটাই কমানোর পরিকল্পনা ছিল। এমনটাই জানানো হয়েছিল জনসনের অফিস থেকে। সেক্ষেত্রে কেবলমাত্র ২৬ এপ্রিল সফর সীমাবদ্ধ রাখার বিষয়ে চিন্তাভাবনা চলছিল। তবে আপাতত সফর পুরোপুরি বাতিল করে দেওয়া হল। তার বদলে যৌথ বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, নিয়মিত যোগাযোগ রেখে চলবেন মোদী এবং জনসন। চলতি বছরের পরের দিকে মুখোমুখি সাক্ষাতের অপেক্ষায় আছেন।
এর আগে ২৬ জানুয়ারি ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবসে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকার কথা ছিল বরসি জনসনের। কিন্তু সেবার ব্রিটেনে করোনার প্রকোপ বাড়তে থাকায় সফর স্থগিত করতে বাধ্য হন জনসন। চলতি সফরে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে ভারত-ব্রিটেন কূটনৈতিক, বাণিজ্যিক এবং প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনার কথা ছিল জনসনের। পাশাপাশি ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সুরক্ষার বিষয়টিও তাঁর সফরের অন্যতম উদ্দেশ্যে ছিল। তবে আপাতত দুই দেশের সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যেতে ভারচুয়াল বৈঠকেই ভরসা রাখছেন মোদী ও জনসন।