ইচ্ছে করেই চিন করোনা ভাইরাল সারা বিশ্বে ছড়িয়েছিল। এমনই দাবি করলেন ইউহান ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজির একজন গবেষক। তাঁর মতে, কোভিড-১৯ জৈবিক অস্ত্র হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছিল। যাতে মানুষ আক্রান্ত হয়, বিপদে পড়ে। এভাবেই সারা বিশ্বের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেওয়ার চেষ্টা করেছিল চিন।
ওই গবেষকের নাম চাও শাও। তিনি জানান,তাঁর সহকর্মীদের করোনা ভাইরাসের চারটি স্ট্রেন দেওয়া হয়েছিল। তাঁদের বলা হয়েছিল কোন স্ট্রেন দ্রুত ছড়িয়ে পড়বে তা খুঁজে বের করতে। আন্তর্জাতিক প্রেস অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য জেনিফার ঝেংকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে চাও শাও এই দাবি করেছেন। যা নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে বিশ্বজুড়ে। সাক্ষাৎকার যিনি নিয়েছিলেন সেই জেনিফার, চিনে জন্মগ্রহণকারী একজন মানবাধিকার কর্মী এবং লেখক।
২৬ মিনিটের ওই সাক্ষাৎকারে চাও শাও জানান, তাঁর উচ্চপদস্থ সহকর্মীরা করোনা ভাইরাসটির চারটি স্ট্রেন দিয়ে সেগুলির পরীক্ষা করতে বলেছিলেন। কোন স্ট্রেন সর্বাধিক সংক্রমিত করে ও মানুষকে কতটা অসুস্থ করে তুলতে পারে তাও খুঁজে বের করতে বলা হয়েছিল। চাও শাও সেই সাক্ষাৎকারেই দাবি করেন, চিন করোনা ভাইরাসকে জৈবিক অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করেছে।
চাও সেই সাক্ষাৎকারে আরও জানান, তাঁর অনেক সঙ্গী ২০১৯ সাল থেকে নিখোঁজ রয়েছেন। সেই সময় উহানে মিলিটারি ওয়ার্ল্ড গেমস অনুষ্ঠিত হয়েছিল। পরে তাঁর এক সতীর্থ প্রকাশ করেন, তাঁকে যে হোটেলে পাঠানো হয়েছিল যেখানে অন্য দেশের ক্রীড়াবিদরাও ছিলেন। যাতে তাঁদের স্বাস্থ্য ও পরিচ্ছন্নতার প্রতি খেয়াল রাখা যায়। কিন্তু ভাইরোলজিস্টরা স্বাস্থ্যবিধি পরীক্ষা করেন না। এটা তাঁদের কাজ নয়। সেই চাও শাও জানান, তাঁর সন্দেহ সতীর্থদেক সেখানে ভাইরাস ছড়ানোর জন্য পাঠানো হয়েছিল।
২০২০ সালের এপ্রিলে, চাও শাওকে কারাগারে পাঠানো হয় কয়েদিদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য। চাও শাওয়ের প্রশ্ন, ভাইরাস নিয়ে গবেষণা করা বিজ্ঞানীদের কাজ। স্বাস্থ্য পরীক্ষাও কী? চাও মনে করেন ভাইরাস ছড়াচ্ছে কিনা তা দেখার জন্যই তাঁকে পাঠানো হয়েছিল।
চাও শাও-এর দাবি, চিন বাস্তবে কী করেছে এবং কী বলছে, তা বড় ধাঁধার একটি ছোটো অংশ মাত্র। এই মহামারী সারা বিশ্বে ৭ মিলিয়নেরও বেশি লোককে হত্যা করেছিল। আশ্চর্যের বিষয় হল এই বিষয়ে এখনও তদন্ত চলছে। বিজ্ঞানীরা ওষুধ ও ভ্যাকসিন খুঁজছেন।