চিন প্রথম দেশ যারা দ্বিতীয়বারের মতো চাঁদের অন্ধকার দিকে তার মহাকাশযান অবতরণ করেছে। মনুষ্যবিহীন মহাকাশযান চাং'ই-৬ ল্যান্ডার চাঁদের দূরে অবতরণ করেছে। এই জায়গায় সূর্যের আলো একেবারেই পড়ে না। চাঁদের এই অংশ সবসময় অন্ধকারে থাকে। এখানে পারদ মাইনাসে রয়ে গেছে।
সেখান থেকে মাটি ও পাথরের নমুনা নিয়ে পৃথিবীতে ফিরে আসবে চিনের মহাকাশযান। এই কাজটি বিশ্বে প্রথমবারের মতো করা হবে, যখন একটি দেশ চিনের অন্ধকার অংশ থেকে নমুনা নিয়ে পৃথিবীতে ফিরে আসবে। এই মিশনের মাধ্যমে বিশ্বজুড়ে চিনের মহাকাশ শক্তির মর্যাদা বেড়েছে। চিন দ্রুত চাঁদে তার মিশন শেষ করছে।
চাঁদে নভোচারী পাঠাতে চায় আমেরিকা। চাঁদে তার ঘাঁটি গড়তে চায়। তবে আমেরিকা ও অন্যান্য দেশের তুলনায় চিন এই কাজটি অনেক আগেই করে ফেলতে পারে এমন সম্ভাবনা রয়েছে। চিনের চাং'ই-৬ মহাকাশযান চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে আইটকেন বেসিনে অবতরণ করেছে। এটি একটি উল্কাপিণ্ডের সংঘর্ষের ফলে গঠিত চাঁদের একটি বিশাল প্রভাবের গর্ত।
চিনের মহাকাশ সংস্থা সিএনএসএ জানিয়েছে, এই মিশনে অনেক উদ্ভাবন করা হয়েছে। নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিয়েছে। চাং'ই-৬-এ যে সমস্ত পেলোড গেছে তা পূর্ব-নির্ধারিত কাজগুলি সম্পাদন করবে। চাঁদে তাদের অনেক ধরনের আবিষ্কার আছে। চাঁদের যে অংশে চিনের মহাকাশযান গেছে সেটি পৃথিবী থেকে দেখা যাচ্ছে না।
চাঁদের অন্ধকার দিকে আরও গভীর, বড় গর্ত রয়েছে। সেদিক থেকে যোগাযোগও সহজ নয়। অতএব, কোন মিশনের ব্যর্থতার উচ্চ সম্ভাবনা রয়েছে। ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির টেকনিক্যাল অফিসার নিল মেলভিল-কেনি, যিনি চিনের মহাকাশ সংস্থার সাথে কাজ করছেন, বলেছেন যে সরাসরি যোগাযোগের লাইনের অভাবের কারণে মিশনটি সম্পূর্ণ করা সহজ নয়। আপনার নিয়ন্ত্রণ নেই।
নিল জানান, মিশনটিকে সম্পূর্ণ অটোমেটিক মোডে ছেড়ে দিতে হবে। মহাকাশযানটি তার বুদ্ধিমত্তা এবং অনবোর্ড কম্পিউটারে লোড হওয়া প্রোগ্রাম অনুযায়ী কাজ করে। এর আগে চাঁদে চাঙ্গি মিশনের পাঁচটি মহাকাশযান পাঠিয়েছে চিন। সবাই সফলভাবে কাজ করছে। এ বছর পৃথিবী থেকে চাঁদে পাঠানো তৃতীয় মহাকাশযান এটি। এর আগে জাপানের স্লিম ল্যান্ডার ও আমেরিকান কোম্পানির ইনটুইটিভ মেশিন ভেহিকেল গেছে।