চিনে ইউক্রেনের পাত্রীদের চাহিদা বেড়েছে। রুশ আক্রমণের মধ্যে, ইউক্রেনের জনগণ তাদের বাড়িঘর ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিতে বাধ্য হচ্ছেন। এদিকে, একটি অনলাইন ওয়েবসাইটে ইউক্রেনের কণেদের প্রতি চীনা পুরুষদের ক্রমবর্ধমান আগ্রহের বিষয়টি লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
ভাইসের খবরে ডেটিং সার্ভিস মেলিশকা জানিয়েছে, যুদ্ধ শুরুর আগে প্রতিদিন প্রায় ৫টি খোঁজখবর নেওয়া হতো। যা এখন দ্বিগুণ হয়েছে।
ডেটিং সার্ভিসের রাশিয়ান মালিক পাভেল স্টেপানেটস বলেন, এখন অনেক ক্লায়েন্ট ইউক্রেনের মেয়েদের চাহিদা নিয়ে আসছেন। তারা জানেন যে ইউক্রেনের মেয়েরা এখন সমস্যায় রয়েছেন এবং চিনে নিরাপদ থাকতে পারবেন। এই কারণেই চিনা পুরুষরা মনে করেন যে ইউক্রেনের মেয়েরা চিনা স্বামীদের একটি ভাল বিকল্প হিসাবে দেখবেন।
Melishka ডেটিং পরিষেবার ওয়েবসাইট অনুসারে, ৭৪৮ জন ইউক্রেনের মেয়ে বর্তমানে চিনা স্বামী খুঁজছেন। স্টেপনেটস দাবি করেছেন যে ৭০ জন চিনা ছেলে নিজেদের জন্য ইউক্রেনের পাত্রী খুঁজছেন। ৮ থেকে ৯ জন দম্পতির ইতিমধ্যে খোঁজ মিলেছে, যারা পরে বিয়ে করেছেন।
আজকাল 'মেইল-অর্ডার ব্রাইড' ব্যবসা চিনে খুব জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। কারণ বিয়ের জন্য নিজের দেশের মেয়ে খুঁজে পাওয়া কঠিন। চিনের এক সন্তান নীতির কারণে এমনটা হয়েছে। এ কারণে চিনে লিঙ্গ অনুপাত খুবই খারাপ হয়ে গেছে।
চিনের জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ নীতির কারণে পুরুষের তুলনায় নারীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেছে। চিনে একটি পরিবারকে শুধুমাত্র একটি সন্তান নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। এই নিয়ম ৩৫ বছর ধরে বলবৎ ছিল। এই নীতির কারণে, পরিবারের লোকেরা একটি মেয়ের পরিবর্তে একটি ছেলেকে পছন্দ করত।
একই সময়ে, ইউক্রেনে নারীর সংখ্যা পুরুষের চেয়ে বেশি। স্টেপনেট জানিয়েছে যে চিনা পুরুষরা পূর্ব ইউরোপের মেয়েদের বেশি পছন্দ করে। কারণ তারা চাইনিজ মেয়েদের মত টাকার পিছনে দৌঁড়ায় না।
ইউক্রেনের মেয়েরা বহু বছর ধরে চিনা পুরুষদের বিয়ে করে আসছেন। কিন্তু ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের পর এই সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।