বিশ্বের ৩৮টিরও বেশি দেশে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট Omicron রোগী সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। আফ্রিকাতে প্রথম করোনার এই ভ্যারিয়েন্টের সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল। তারপরেই আমেরিকা, ব্রিটেন, ভারতেও এই রোগ খুব দ্রুত বাড়ছে। সব থেকে চিন্তার বিষয়, বিদেশ ভ্রমণের ইতিহাস নেই এমন অনেকেরই করোনার নতুন এই ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হচ্ছেন।
যুক্তরাজ্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ পার্লামেন্টে জানান, ব্রিটেনে বর্তমানে ওমিক্রনের ৩৩৬টি কেস পাওয়া গেছে। কমিউনিটির মধ্যও ছড়াতে শুরু করেছে। ইংল্যান্ডে এখন পর্যন্ত ২৬১ টি কেস রিপোর্ট করা হয়েছে। স্কটল্যান্ডে ৭১ টি কেস রিপোর্ট করা হয়েছে, ওয়েলসে ৪টি কেস রিপোর্ট করা হয়েছে।
ভ্রমণের ইতিহাস নেই এমন লোকেরাও সংক্রামিত হচ্ছে
সাজিদ জাভিদ বলেন, এমন অনেক ওমিক্রন আক্রান্ত রোগীর নাম সামনে আসছে, যাঁর কোনো ভ্রমণ ইতিহাসও নেই। এমন পরিস্থিতিতে আমরা এই সিদ্ধান্তে এসেছি যে ইংল্যান্ডের অনেক এলাকায় কমিউনিটি স্প্রেড দেখা যাচ্ছে। তিনি আরও বলেন, বিজ্ঞানীরা যখন নতুন ভেরিয়েন্ট সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহে ব্যস্ত রয়েছেন। আমাদের কৌশল হল সময়মতো করোনার নতুন রূপের সামনে আমাদের ভ্যাকসিন ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করা।
জাভিদ ইউকে হেলথ সিকিউরিটি এজেন্সি দ্বারা প্রকাশিত তথ্যেরও উল্লেখ করেছেন। যেখানে বিজ্ঞানীরা ওমিক্রনের সময়সীমা ডেল্টা ভাইরাসের চেয়েও ছোট হওয়ার সম্ভাবনা প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, এই ভাইরাস কতটা বিপজ্জনক এবং ভ্যাকসিন এর ওপর কী প্রভাব ফেলবে, তাও এখনও পরিষ্কার নয়। তাই আমরা নিশ্চিতভাবে কিছু বলতে পারি না যে, এই ভাইরাসটি আমাদের ঠিক কতটা ক্ষতি করতে পারবে। মঙ্গলবার থেকে, যুক্তরাজ্যের নন-লাল তালিকাভুক্ত দেশ থেকে টিকা দেওয়া হোক কিংবা না হোক আসার ৪৮ ঘণ্টা আগে তাঁকে PCR নেগেটিভ রিপোর্ট দেখাতে হবে। জাভিদ বলেছেন, দুই দিন আগে নেগেটিভ রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত পিসিআর পরীক্ষা হবে। আগামী সপ্তাহে সেগুলি পর্যালোচনা করা হবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে ওমিক্রন ডেল্টা ভেরিয়েন্টের তুলনায় অনেক দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে।