দিল্লি, ৬ অক্টোবর : সঠিক সময়ে লকডাউন বিধি মানাতে নভেল করোনাভাইরাস সংক্রমণে অনেকটাই রাশ টানা গিয়েছিল ইউরোপে৷ ধীরে ধীরে স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে ফিরছিল এই মহাদেশ। কিন্তু ফের করোনা হানায় তৈরি হল এক টালমাটাল পরিস্থিতির। কোভিড-১৯ অতিমারী সৃষ্টিকারী সারস-কোভ ২ ভাইরাসের দ্বিতীয় দফার ঝড়ে আবারও লকডাউন নিয়ম ফিরছে ইউরোপে। এদিকে ভারতের চিত্র কিন্তু অনেকটাই আলাদা৷ গোটা সেপ্টেম্বর মাস কোভিড দাপটে কেঁপেছে দেশ৷ বরং গত কয়েকদিনে ক্রমশ কমছে আক্রান্তের সংখ্যা। ছ'মাসের লকডাউন শেষে এবার আনলকের পথেই হাঁটছে ভারত।
অন্যদিকে, ফ্রান্সে ইতিমধ্যেই নতুন লকডাউন নির্দেশিকা জারি হয়ে গিয়েছে। আগামী ১৫ দিন সমস্ত রেস্তোরাঁ, বার বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সবরকম অনুষ্ঠানে সমাবেত হওয়ার সংখ্যা কমিয়ে ১০জন করা হয়েছে। স্থগিত হয়েছে বিয়ের অনুষ্ঠান। সংক্রমণ রুখতে বাইরে বেরোলে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করেছে সে দেশের প্রশাসন। জার্মানিতেও কমবেশি নিয়ম একই। মাস্ক না পরলে ৫০ ইউরো ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নয়া নির্দেশ জারি হয়েছে সেখানে।
ইউরোপে করোনা ভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে স্পেন। সেখানেও ফের করোনা হানায় নয়া নিয়ম জারি করেছে প্রশাসন। সামাজিক অনুষ্ঠানে বেঁধে দেওয়া হয়েছে জনসংখ্যা। বাধ্যতামূলক করা হয়েছে মাস্ক। ইটালি, নেদারল্যান্ডস, ডেনমার্ক, বেলজিয়াম, পর্তুগাল, গ্রিস ইউরোপ মহাদেশের প্রায় সবদেশেই অগাস্ট মাস থেকে দ্বিতীয় পর্যায়ের কোভিড ঝড় শুরু হয়েছে৷ যদিও করোনা মোকাবিলায় ইউরোপের স্ট্র্যাটেজি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিশেষজ্ঞরা। কেন সবদিক না ভেবে আগেই আনলক করা হয়েছে ইউরোপে তা নিয়ে এবার বিতর্ক শুরু হয়েছে।
অন্যদিকে, ভারতে লকডাউন নিয়ম আরও অনেকটাই শিথিল করা হল। তিনমাস কঠোর লকডাউনের পর দেশের অর্থনীতি ফেরাতে আনলক পর্যায়ে গিয়েছিল মোদী সরকার৷ তবে অক্টোবরে লকডাউন নিয়ম প্রায় নেই বললেই চলে৷ তবে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক রয়েছে। অগাস্ট মাসে যেখানে দৈনিক সংক্রমণ ছিল ৯০ হাজারেরও বেশি গত ২৪ ঘন্টায় সেই সংখ্যা কমে এসেছে ৭০ হাজারের নীচে। যা সাম্প্রতিক সময়ে রেকর্ড। দেশে অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে সুস্থতার হার৷ তবে ইউরোপে ফের ৬০ হাজারেরও বেশি আক্রান্ত হয়েছে এই ভাইরাসে।