ফ্রান্সের পার্লামেন্ট নির্বাচনে বামেরা ক্ষমতায় আসবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। সংসদ নির্বাচনের প্রথম আনুমানিক ফলাফল ঘোষণার পর রবিবার সন্ধ্যায় প্যারিসে ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয় এবং পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ হয়। Exit Poll-এ ইঙ্গিত, বামপন্থী জোট সবচেয়ে বেশি আসন পাবে। সেখানে প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁর দল দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। আর লে পেনের ডানপন্থী দল ন্যাশনাল র্যালি তৃতীয় স্থানে থাকবে বলে ইঙ্গিত। যদিও ভোটের আগে অনুমান করা হয়েছিল, এই দলটিই সবচেয়ে বেশি আসন পাবে। তবে যদি বাস্তবে কোনও দল বা জোট সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পায় তাহলে ফ্রান্সে অচলাবস্থা দেখা যেতে পারে।
এদিকে এগজিট পোল সামনে আসার পর ফ্রান্স হিংসায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। মুখোশধারী বিক্ষোভকারীদের ফ্রান্সের রাস্তায় রাস্তায় অগ্নিসংযোগ করেছে। ডেইলি মেইলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফ্রান্সে প্রায় ৩০,০০০ পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে এই হিংসা দমনে।
নির্বাচনে হেরে গেলে তা ম্যাক্রোঁর দলের জন্যও একটা বড় ধাক্কা। নির্বাচনে বাম, মধ্যপন্থী এবং চরম ডানপন্থী এই তিন জোট লড়াই করছে। সেদেশের কট্টর-বাম নেতা এগজিট পোল দেখার পর জানিয়েছেন, 'জনগণের ইচ্ছাকে সম্মান করতে হবে। রাষ্ট্রপতিকে অবশ্যই নিউ পপুলার ফ্রন্টকে সরকার পরিচালনার জন্য আমন্ত্রণ জানাতে হবে।'
ফ্রান্সের সংসদে মোট ৫৭৭ আসন রয়েছে। সংখ্যাগরিষ্ঠ হবে সেই দল যা জোট যারা ২৮৯ আসন পাবে। সোমবার বিকেলের মধ্যে জানা যেতে পারে কারা ক্ষমতা দখল করবে। যাদের এগজিট পোল প্রায় প্রতিবার মিলে যায় তাদের তরফে জানানো হয়েছে, বামেরা ১৮৪-১৯৮, ম্যাক্রোঁর মধ্যপন্থী জোট ১৬০-১৬৯ এবং আরএন এবং তার জোট সঙ্গীরা ১৩৫-১৪৩ আসন পাবে৷ যদি এই এগজিট পোল মিলে যায় তাহলে বামেরা সরকার গড়বে। অন্য কোন দলকে সঙ্গে নিয়ে।
কট্টর-বাম নেতা রাফায়েল গ্লাকসম্যান জানান, 'আমরা এগিয়ে আছি, কিন্তু আমরা বিভক্ত সংসদে আছি। আমাদের কথা বলতে হবে, আলোচনা করতে হবে, যোগাযোগ করতে হবে। কোন জোট ২৮৯ আসনের কাছাকাছি আসছে সেটা দেখতে হবে। তারপরই সিদ্ধান্ত হবে। তবে আমরা আশাবাদী যে,আমরা সবথেকে বেশি আসন পাব।'