হামাস প্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ারকে হত্যা করা হয়েছে। এক বিবৃতিতে একথা জানিয়েছেন ইজরায়েলের বিদেশ মন্ত্রী কাটজ। গত ৭ অক্টোবর ইজরায়েলে হামলার নির্দেশ দিয়েছিলেন সিনওয়ার। সেই সিনওয়ারকেই খতম করা হয়েছে বলে দাবি করল ইজরায়েল। সে দেশের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, শত্রুপক্ষের জন্য আঘাত। তাঁর আরও সংযোজন, 'হামাসের বিরুদ্ধে মিশন এখনও শেষ হয়নি।'
৭ অক্টোবরের হামলায় ইজরায়েলে ১২০০ জনের মৃত্যু হয়েছিল। এক বিবৃতিতে কাটজ বলেছেন, 'গণহত্যাকারী ইয়াহিয়া সিনওয়ারকে খতম করেছেন আইডিএফ জওয়ানরা। ৭ অক্টোবরে বর্বরোচিত হামলার নেপথ্যে তিনি ছিলেন।'
জানা গিয়েছে, গাজার খান ইউনিয়ের একটি শরণার্থী শিবিরে জন্ম হয়েছিল ইয়াহিয়ার। তিনি বহু বছর কারাগারে বন্দি ছিলেন। হামাসের অন্যতম শক্তিশালী নেতা ছিলেন তিনি। অন্য দিকে, গাজায় এক অভিযানে ৩ জঙ্গিকে নিকেশ করা হয়েছে বলে ঘোষণা করেছে ইজরায়েল।
ইজরায়েল-হামাসের যুদ্ধের ঝাঁজ ক্রমেই বাড়ছে। গাজায় হামাস সরকারের প্রধান রাহি মুশতাহা-সহ ৩ জনকে হত্যা করা হয়েছে বলে আগে দাবি করেছিল ইজরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। ইজরায়েল দাবি করেছিল, ৩ মাস আগেই তাঁদের হত্যা করা হয়েছে। ইজরায়েল দাবি করে যে, উত্তর গাজায় হামলা চালানো হয়। সেই হামলাতেই রাহি এবং আরও ২ জন হামাস কমান্ডারের মৃত্যু হয়েছে। গত বছর ৭ অক্টোবর ইজরায়েলে হামলা চালানো হয়েছিল। সেই হামলায় ১২০০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়। ওই হামলার মাস্টারমাইন্ড ছিলেন ইয়াহিয়া সিনওয়ার। ইয়াহিয়ার ঘনিষ্ঠ ছিলেন রাহি। এবার ইয়াহিয়াকেও হত্যা করা হল বলে দাবি করা হল।
কিছু দিন আগে, লেবাননের রাজধানী বেইরুটে নতুন করে হামলা চালায় ইজরায়েল। হিজবুল্লার মূল সদর দফতর টার্গেট করে হামলা চালানো হয়। বেইরুটে ইজরায়েল এয়ারস্ট্রাইক চালায়। বেশ কয়েক জন নিহত হন বলে খবর। ইজরায়েলের টার্গেটে হিজবুল্লার বড় নেতা হাসান নাসরুল্লাহ। নাসরুল্লাহকে খতম করতেই এই হামলা চালানো হয়। হামলায় নাসরুল্লাহের মৃত্যু হয়।
ইজরায়েল এবং হামাসের মধ্যে প্রায় ১ বছর ধরে যুদ্ধ চলছে। সেই যুদ্ধের মধ্যেই ইজরায়েলে হামলা চালায় হিজবুল্লা। যার নেপথ্যে রয়েছে ইরান। পাল্টা জবাব দিচ্ছে ইজরায়েলও। এই সংঘাত সম্প্রতি ব্যাপক ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। ইজরায়েল-ইরান সংঘাতের পারদও চড়েছে। কড়া বার্তা দিয়েছেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। তিনি বলেছেন, 'শত্রুরা ভেবেছিল, আমরা হয়তো মাকড়সার জাল। কিন্তু আমাদের লৌহ ক্ষমতা রয়েছে।' তাঁর সংযোজন, 'যতক্ষণ যুদ্ধের পথে থাকবে হিজবুল্লা, ততক্ষণ ইজরায়েলের কিছু করার নেই, প্রত্যাঘাত চালাবে। সব হুমকি নির্মূল করে দেশের নাগরিকদের সুরক্ষিত করার সব অধিকার রয়েছে ইজরায়েলের।'