পাকিস্তানের (Pakistan) প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের (Imran Khan) বিরুদ্ধে উপহার বিক্রির অভিযোগ। বুধবার পাকিস্তানের বিরোধী দলগুলি অভিযোগ করেছে যে, অন্যান্য দেশের প্রধানদের থেকে পাওয়া উপহারগুলি বিক্রি করে দিচ্ছেন ইমরান খান। এমনকী তার মধ্যে একটি ১ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের ঘড়ি রয়েছে বলেও অভিযোগ।
রাষ্ট্রীয় সফরকালে রাষ্ট্রপ্রধানদের মধ্যে উপহার বিনিয়ম হয়। গিফট ডিপজিটরি বা তোষাখানার নিয়ম অনুযায়ী, খোলাখুলি নিলাম না হওয়া পর্যন্ত ওই উপহারগুলি রাষ্ট্রের সম্পত্তি। কিন্তু সেই উপহারই বিক্রির অভিযোগ প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে। এই প্রসঙ্গে পিএমএল-এন-র সহসভাপতি মরিয়ম নওয়াজের ট্যুইট, "ইমরান খান অন্যান্য দেশ থেকে পাওয়া উপহার বিক্রি করেছেন"।
প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের মেয়ে ইমরান খানের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন তুলেছেন, "খলিফা হজরত ওমর তাঁর জামা পোষাকের জন্য দায়বদ্ধ ছিলেন, আর আপনি তোষাখানা থেকে বিদেশী উপহার লুঠ করে মদিনা রাষ্ট্র প্রতিষ্টার কথা বলছেন? একজন ব্যক্তি কীভাবে এতটা অসংবেদনশীল, মূক, বধির ও অন্ধ হতে পারেন?"
বিরোধী জোট পাকিস্তান ডেমোক্রেটিক মুভমেন্টের সভাপতি মৌলনা ফজলুর রহমান বলেন, "এক রাজপুত্রের থেকে পাওয়া একটি ঘড়ি বিক্রি করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এটা লজ্জাজনক।" পিএমএল-এন-র পঞ্জাব প্রদেশের সভাপতি রানা সানাউল্লাহ বলেছেন, 'প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে এই অভিযোগে পাকিস্তানের মানহানি হয়েছে।'
যদিও দেশের মন্ত্রী সাহাবাজ গিল আগেই জানিয়েছিলেন, "অন্যান্য রাষ্ট্রপ্রধানদের থেকে পাওয়া প্রধানমন্ত্রীর উপহারের বিষয়ে সরকার গোপনীয়তা বজায় রেখেছে। সাধারণত প্রধানমন্ত্রী এই ধরণের উপহার তোষাখানায় জমা করেন। কিন্তু যদি তিনি সেগুলি তাঁর কাছে রাখতে চান তবে তার জন্য তাঁকে কিছু অর্থ দিতে হবে।"