ইমরান খানের স্বস্তি। তোশাখানা মামলায় তাঁকে কারাগার থেকে মুক্তির নির্দেশ দিল ইসলামাবাদ হাইকোর্ট। নিম্ন আদালতের সিদ্ধান্ত বাতিল করে এই নির্দেশ দেয় আদালত। পিটিআই-এর পক্ষ থেকে আদালতের এই রায়কে স্বাগত জানানো হয়েছে।
সম্প্রতি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ পদত্যাগ করেন। তাঁর জায়গায় আনোয়ার উল হক কেয়ারটেকার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িচত্ব সামলাচ্ছেন। বেলুচিস্তান আওয়ামি পার্টির সঙ্গে যুক্ত সিনেটর আনোয়ার-উল-হক এই বছরের শেষের দিকে নতুন নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের নেতৃত্ব দেবেন। প্রধানমন্ত্রী শরিফ ৯ আগস্ট জাতীয় পরিষদ ভেঙে দেওয়ার সুপারিশ করেন। এমন পরিস্থিতিতে সংবিধান অনুযায়ী ৯০ দিনের মধ্যে আগামী সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা।
ইমরান খানকে অ্যাটক কারাগারে রাখা হয়েছিল। তবে তিনি সেখান থেকে রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে স্থানান্তরিত হতে চেয়েছিলেন। ইমরান খানের আইনজীবীরা জানিয়েছিলেন, ইমরানের বয়স ৭০। তাঁদের মক্কেল অ্যাটক কারাগারে থাকতে চান না। কারণ সেখানে মশা মাছির খুব উৎপাত। এতে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়ছেন।
প্রসঙ্গত, তোশাখানা মামলায় ইমরান খানকে ৩ বছরের সাজা শোনায় নিম্ন আদালত। সঙ্গে তাঁর উপর ৫ বছর নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নিষেধাজ্ঞা আরোপও করা হয়। নিম্ন আদালতের এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ইমরান ইসলামাবাদ হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। নিম্ন আদালতের সিদ্ধান্তের বিষয়ে তিনি বলেছিলেন, 'বিচারক পক্ষপাতদুষ্ট হয়ে তাঁকে সাজা দিয়েছেন।'
তোশাখানা মামলা কি?
তোশাখানা হল এমন একটি জায়গা যেখানে রাষ্ট্রপ্রধান এবং বিদেশি অতিথিদের দেওয়া মূল্যবান উপহার রাখা হয়। নিয়মানুযায়ী অন্য দেশের রাষ্ট্রপ্রধান বা গণ্যমান্য ব্যক্তিদের কাছ থেকে পাওয়া উপহার তোশাখানায় থাকার কথা। ২০১৮ সালে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হন ইমরান খান। আরব দেশগুলোতে সফরকালে তিনি সেখানকার শাসকদের কাছ থেকে দামি উপহার পেয়েছিলেন। তিনি ইউরোপের অনেক দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের কাছ থেকে মূল্যবান উপহারও পেয়েছিলেন। সেগুলো ইমরান তোশাখানায় রেখেছিলেন। অভিযোগ, ইমরান পরে সেগুলো তোশাখানা থেকে সস্তায় কিনে বিপুল লাভে বিক্রি করেন।