গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পাস হল রাষ্ট্রসংঘে। সাধারণ পরিষদে আনা ওই খসড়া প্রস্তাবের পক্ষেই ভোট দিয়েছে ভারত। ওই প্রস্তাবে ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধ অবিলম্বে বন্ধ ও সমস্ত বন্দির নিঃশর্ত মুক্তির দাবি করা হয়েছে। ১৯৩ সদস্যের সাধারণ পরিষদ মঙ্গলবার একটি জরুরি বিশেষ অধিবেশনে মিশর এই খসড়া প্রস্তাবটি পেশ করে। ১৫৩টি সদস্য দেশ প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয়, ২৩টি দেশ বিরত থাকে এবং ১০টি দেশ প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দেয়। আলজেরিয়া, বাহরাইন, ইরাক, কুয়েত, ওমান, কাতার, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি এবং প্যালেস্তাইন এই প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছে।
আমেরিকা, অস্ট্রিয়া, চেক প্রজাতন্ত্র, গুয়াতেমালা, ইজরায়েল, লাইবেরিয়া, মাইক্রোনেশিয়া, নাউরু, পাপুয়া নিউ গিনি এবং প্যারাগুয়ে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবের বিরুদ্ধে ভোট দেওয়া দেশগুলির মধ্যে ছিল। রেজোলিউশনে সমস্ত বন্দিদের অবিলম্বে এবং নিঃশর্ত মুক্তির পাশাপাশি মানবিক সহায়তা নিশ্চিত করার এবং আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে সমস্ত পক্ষকে তাদের বাধ্যবাধকতা মেনে চলার আহ্বান জানানো হয়েছে, বিশেষ করে নাগরিকদের নিরাপত্তার কথা।
ভারত অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবের সমর্থনে ভোট দিয়েছে। তবে প্রস্তাবে হামাসের নাম ছিল না। রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে যদিও এই প্রস্তাব পাস হয়নি। কারণ স্থায়ী সদস্য দেশ আমেরিকা এই প্রস্তাবের বিরুদ্ধে তার ভেটো ক্ষমতা ব্যবহার করেছিল। সংযুক্ত আরব আমিরশাহি দ্বারা করা পেশ রেজুলেশন ৯০টিরও বেশি সদস্য দেশের সমর্থন পেয়েছে, ১৩টি পক্ষে ভোট রয়েছে। যখন ব্রিটেন ভোটদানে অনুপস্থিত ছিল। ভারত অক্টোবরে সাধারণ পরিষদে একটি প্রস্তাবে ভোটদানে অনুপস্থিত ছিল, যা ইজরায়েল-হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি এবং গাজা উপত্যকায় বাধাহীন মানবিক প্রবেশাধিকারের প্রস্তাব করেছিল।
ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধে এখনও পর্যন্ত ২০ হাজারেরও বেশি প্রাণ হারিয়েছে। ৭ অক্টোবর হামাস ও অন্যান্য প্যালেস্তাইন সশস্ত্র গোষ্ঠীর হামলায় ৩৩ শিশু-সহ ১২০০ জনেরও বেশি ইজরায়েলি নিহত হয়েছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য অনুসারে, গাজায় এখনও পর্যন্ত অন্তত ১৮,২০৫ জন নিহত হয়েছেন, যাদের প্রায় ৭০ শতাংশ মহিলা ও শিশু। প্রায় ৫০ হাজার জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।