India China border patrol agreement: সীমান্ত নিয়ে নয়া চুক্তিতে সম্মত হল ভারত-চিন। লাদাখ সীমান্তে অচলাবস্থা কাটাতে উদ্যোগী হল দুই দেশ। মঙ্গলবার এই চুক্তির কথা জানিয়েছে চিন। বেজিং জানিয়েছে, পূর্ব লাদাখে দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে যে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে, তা শেষ করার প্রচেষ্টা চলছে। আর সেই লক্ষ্যেই ভারতের সঙ্গে একটি চুক্তি করা হয়েছে।
চিনের সরকার সূত্রে দাবি করা হচ্ছে, 'প্রাসঙ্গিক বিষয়ে' দুই পক্ষ একটি সর্বসম্মতিতে পৌঁছেছে। সেই ভিত্তিতে একটি রেজোলিউশন গ্রহণ করা হয়েছে। রেজোলিউশনগুলি বাস্তবায়নের জন্য বেজিং নয়াদিল্লির সঙ্গে তাল মিলিয়ে কাজ করবে। সহযোগিতা ও আলোচনার মাধ্যমে সমাধানে রাজি হয়েছে বেজিং।
চিনের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র লিন জিয়ান এই বিষয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করেন। সেখানে বলেন, 'সাম্প্রতিক অতীতে, চিন ও ভারত, দুই দেশের সীমান্ত সংক্রান্ত বিষয়ে কূটনৈতিক এবং সামরিক চ্যানেলের মাধ্যমে গভীর আলোচনায় অংশ নিয়েছে।' লিন জিয়ান বলেন, 'এখন দুই পক্ষই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি নিয়ে একটি রেজোলিউশনে পৌঁছেছে। চিন এই প্রচেষ্টাকে সমর্থন করে।'
তিনি বলেন, আগামিদিনে চিন এই রেজোলিউশনগুলির বাস্তবায়নে ভারতের সঙ্গে কাজ করবে।
২০২০ সালে ভারতের সঙ্গে চিনের বর্ডারের তিক্ততা যে কোনও জায়গায় পৌঁছেছিল, তা কারও অজানা নয়। সম্প্রতি ভারত-চিনের পরিস্থিতি নিয়ে আরও একটি উদ্বেগজনক ঘটনা সামনে আসে। ঠিক যেখানে ভারতীয় বাহিনীর সঙ্গে চিনের সংঘর্ষ হয়েছিল, তার থেকে মাত্র ৩৮ কিলোমিটার পূর্বের কিছু ছবি প্রকাশ্যে আসে। তাতে দেখা যাচ্ছে, সীমান্ত অঞ্চলে রীতিমতো ছোট শহর গড়ে তুলছে চিন। উল্লেখ্য, এই অংশটি ভারতের আঞ্চলিক দাবির বাইরে অবস্থিত। Pangong Tso, বিশ্বের সর্বোচ্চ লবণাক্ত জলের হ্রদ। ভারত ও চিন-শাসিত তিব্বতের সীমানা জুড়ে এই লেক বিস্তৃত। এই অংশে চিনের এহেন বসতি স্থাপনের প্রবণতাকে মোটেও ভাল চোখে দেখছেন না কূটনীতিবিদরা। তার কয়েকদিন বাদেই হল এই চুক্তি। এরপর ভারত-চিনের মধ্যে সীমান্ত সমস্যা দূর হয় কিনা, সেদিকেই তাকিয়ে দুই দেশের মানুষ।