ইজরায়েল ও প্যালেস্তাইনের যুদ্ধে এখনও পর্যন্ত ৪ হাজারের কাছাকাছি মৃত্যু। শহরের পর শহ ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। গাজায় হামাস গোষ্ঠীকে খতম করতে লাগাতার বোমাবাজি করে চলেছে ইজরায়েল। এহেন পরিস্থিতিতে ইজরায়েলকে চরম হুঁশিয়ারি দিল ইরান। ইরানের হুমকি, যদি গাজায় ইজরায়েল বোমাবাজি বন্ধ না করে, তা হলে অন্য মঞ্চে যুদ্ধ শুরু হবে। অন্যদিকে ইজরায়েলে আটকে পড়া ভারতীয়দের উদ্ধার করতে অপারেশন অজয় শুরু করে কেন্দ্রীয় সরকার। ইতিমধ্যেই প্রথম ফ্লাইটে ২১২ জন ভারতীয়কে উদ্ধার করে দিল্লি আনা হয়েছে।
গত শনিবার প্যালেস্তাইনের হামাস গোষ্ঠী অতর্কিতে হামলা চালাতে শুরু করে ইজরায়েলে। মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে দুদেশই। কয়েক হাজার রকেট হামলা চালায় হামাস। পাল্টা জবাব দিতে শুরু করে ইজরায়েল। শুধু গাজাতেই মৃত্যুর সংখ্যা দেড় হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে।
হামাস নেতাদের সঙ্গে দেখা করলেন ইরানের বিদেশমন্ত্রী
ইরানের বিদেশমন্ত্রী আমিরবদৌল্লাহিয়ন বৃহস্পতিবার বেইরুটে লেবানন ও হামাসের নেতাদের সঙ্গে দেখা করেন। এই বৈঠকের পরে সাংবাদিক বৈঠকে ইজরায়েলকে রীতিমতো হুঁশিয়ারি দিয়ে ইরানের বিদেশমন্ত্রী বলেন, যদি গাজায় বোমাবাজি বন্ধ না করে ইজরায়েল, তাহলে অন্য মঞ্চে যুদ্ধ শুরু হবে।
বস্তুত, ইজরায়েলকে যেমন অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে সাহায্য করছে আমেরিকা সহ পশ্চিমি দুনিয়া, তেমনই প্যালেস্তাইনকেও বিপুল সাহায্য করছে ইরান, লেবানন, তুরস্ক সহ একাধিক মুসলিম রাষ্ট্র।
হামাসের পাশে ইরান
বেশ কয়েকটি রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, বেশ কয়েকটি দেশ হামাসকে ‘ইসলামিক চ্যারিটি’র নামে তাদের অর্থ সহযোগিতা করছে। গাজা ভূখণ্ডের প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রক প্যালেস্তাইন ন্যাশনাল অথরিটিজ-এর মাধ্যমে বিদেশ থেকে আসা সেই অর্থ পৌঁছে যায় হামাসের হাতে। এক রিপোর্টে তো এমনও দাবি করা হয়েছে, হামাসকে আর্থিক ভাবে আরও মজবুত বানানোর নেপথ্যে সবচেয়ে বেশি এগিয়ে ইরান। তারা ৭০ শতাংশ আর্থিক সহযোগিতা করে এই বাহিনীকে। ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রতি বছর হামাসকে ১০ কোটি ডলার আর্থিক সহযোগিতা করা হয়।
ভারতের 'অপারেশন অজয়'
এদিকে ইজরায়েলে আটকে পড়া ভারতীয়দের উদ্ধার করে দেশে ফেরাতে অপারেশন অজয় লঞ্চ করেছে কেন্দ্র। আজ অর্থাত্ শুক্রবার প্রথম বিমান পৌঁছেছে দিল্লি। প্রথম বিমানে উদ্ধার করা হয়েছে ২১২ জন ভারতীয়কে। দিল্লি বিমানবন্দরে তাঁদের স্বাগত জানাতে হাজির ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর।