হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়াকে হত্যার বদলা নিতে চায় ইরান। হামাস প্রধানকে ইরানের রাজধানী তেহরানে বাড়িতে ঢুকে খুন করা হয়েছে। এর প্রতিশোধ নিতে ইজরায়েলে হামলার নির্দেশ দিলেন ইরানের সুপ্রিম নেতা আয়াতোল্লা আলি খামেনেই। বৃহস্পতিবার এই খবর প্রকাশ্যে এসেছে।
বুধবার তেহরানে হামাস প্রধানকে খুন করা হয়। একথা জানিয়েছে, স্বাধীনতাপন্থী প্যালেস্টাইনি গোষ্ঠী হামাস। তারপরই ইজরায়েলে হামলার নির্দেশ দিল ইরান। ইরান সরকারের তিন আধিকারিককে উদ্ধৃত করে দ্য নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে যে, ইজরায়েল আক্রমণ করতে সেনাকে নির্দেশ দিয়েছেন ইরানের সুপ্রিম নেতা। ইরানের ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের সঙ্গে জরুরি বৈঠকের পরই এই নির্দেশ দেওয়া হয় বলে খবর।
তবে ইজরায়েলে কী ধরনের হামলা চালাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তা স্পষ্ট নয়। ইরানের কত সেনাবাহিনীকে হামলার জন্য নিযুক্ত করা হয়েছে, তা-ও জানা যায়নি। তবে মনে করা হচ্ছে, গত এপ্রিল মাসে ইজরায়েলের সেনা ঘাটি তেল আভিভ এবং হাইফায় যেভাবে ইরান হামলা চালিয়েছিল, সেরকমই হতে পারে। এবারও ড্রোন, মিসাইল হামলা চালাতে পারে ইরান।
হানিয়ার মৃত্যুর পর ইরানের সুপ্রিম নেতা জানিয়েছেন যে, বদলা নিতে ইজরায়েলে সরাসরি আক্রমণ করা হবে। যেহেতু ইরানের মাটিতে রক্ত ঝরেছে, তাই তার বদলা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
হানিয়াকে হত্যার জন্য ইজরায়েলকে দায়ী করেছে ইরান এবং হামাস। তবে এখনও পর্যন্ত হানিয়ার উপর হামলার দায় স্বীকার করেনি ইজরায়েল। আবার হামলার কথা অস্বীকারও করেনি।
অন্য দিকে, ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, তাঁর দেশে যদি কোনওরকম হামলা চালানো হয়, তা হলে অনেক মূল্য চোকাতে হবে। হানিয়ার মৃত্যুর পর প্রথম কোনও বক্তব্য পেশ করলেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী।