ইরান ও ইজরায়েলের মধ্যে যুদ্ধ চলছে। দুই দেশ একে অপরের উপর নানা সামরিক অস্ত্র দিয়ে হামলাও চালাচ্ছে। অনেকের মৃত্যুর খবর সামনে আসছে। তবে সামরিক বিশেষজ্ঞদের মতে, ইজরায়েলের উপর নানা অস্ত্র প্রয়োগ করলেও তা কতটা কার্যকর হবে সেটা নিয়ে বড় প্রশ্ন আছে। কারণ ইজরায়েলের প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি। তাদের রয়েছে বহুস্তর বিশিষ্ট এয়ার ডিফেন্স শিল্ড। যাকে প্রতিরক্ষার ভাষায় বলা হয় এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম।
ইজরায়েলের কাছে ছয়টি এমন অস্ত্র রয়েছে, যেগুলো বিভিন্ন ধরনের লক্ষ্যবস্তু এবং রেঞ্জের জন্য ব্যবহৃত হয়। তাদের উপস্থিতিতে ইজরায়েলের প্রভূত ক্ষতি করা খুব কঠিন। এই ছয় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার সাহায্যে ইজরাইল নিজেদের রক্ষা করে।
লাইট হোল্ড অস্ত্র
ইসরায়েলের সবচেয়ে অদ্ভুত এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম গাজা সীমান্তে মোতায়েন রয়েছে। এই লাইট হোল্ড সিস্টেমের সাহায্যে বিপজ্জনক বেলুন, ঘুড়ি, ছোট ড্রোন, রকেট, মর্টার এবং কামানের গোলা নিক্ষেপ করা যায়। এই অস্ত্রটি চার বছর আগে ইজরাইল মোতায়েন করে।
আয়রন ডোম
গত বছর ইজরাইল প্রথমবারের মতো আয়রন ডোম লেজার পয়েন্ট ডিফেন্স সিস্টেম সক্রিয় করে। এই সিস্টেমটি অনেক দূর থেকে ড্রোন, রকেট, মিসাইল, মর্টারকে পর্যবেক্ষণ করতে পারে। এই অস্ত্র সারাদেশে মোতায়েন থাকে। কেউ হামলা করলে আগে থেকেই বুঝতে পারে এই অস্ত্র। আয়রন ডোম থেকে মিসাইলও ছোড়া যায়। এর একটি মিসাইলের দাম আট লাখ টাকা। এতে কোনও বুলেট, শেল বা রকেট নেই। তাই যত খুশি গুলি করতে পারে।
আয়রন ডোম হল ইসরায়েলের তৈরি বিশ্বের সবচেয়ে নির্ভুল এবং কার্যকরী বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। ২০১১ সালে ইজরাইল তাদের দেশে আয়রন ডোম স্থাপন করে। তখন থেকে এই বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা শত্রুর ক্ষেপণাস্ত্র ও রকেট হামলা থেকে জনগণকে রক্ষা করে আসছে। তাও ৯০ শতাংশ নির্ভুলতার সাথে।
ডেভিড স্লিং
ডেভিড স্লিং-কে জাদুর কাঠিও বলা হয়। এটি একটি সারফেস টু এয়ার এবং অ্যান্টি-ব্যালিস্টিক মিসাইল ইন্টারসেপ্টর। ইসরায়েল ও আমেরিকা মিলে এটি তৈরি করেছে। এর সাহায্যে ড্রোন, কৌশলগত ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র, রকেট এবং ক্রুজ মিসাইলকে ড্যামেজ করে দেয়। অথবা বাতাসে ধ্বংস হয়ে যায়। ডেভিড স্লিং মিসাইল ৪০ থেকে ৩০০ কিলোমিটার দূর থেকে আসা অস্ত্র ধ্বংস করতে পারে। এর গতি ঘণ্টায় ৯২৬১ কিলোমিটার।
Hetz মিসাইল
হেটজও ইসরায়েলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্র। মিসাইলটির ওজন ১৩০০ কেজি। এটি এমন শক্তিশালী যে, বায়ুমণ্ডলের বাইরে যাওয়ার ক্ষমতা রাখে। এর গতি সবচেয়ে বিপজ্জনক। ঘণ্টায় ৯ হাজার কিলোমিটার গতিবেগ।
অ্যারো-৩
অ্যারো থ্রি মিসাইল সিস্টেম হল এমন একটি ক্ষেপণাস্ত্র যা ইসরায়েলকে বায়ুমণ্ডলের উপর থেকে রক্ষা করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। ইসরায়েল সরকার কখনই তার ফায়ার পাওয়ার, গতি এবং নির্ভুলতা প্রকাশ করেনি। তবে এটি অ্যারো-২ মিসাইলের চেয়ে দ্রুত গতিতে চলে বলে দাবি করা হয়েছে। মহাকাশে যে কোনো স্যাটেলাইট শুট করতে সক্ষম এই অস্ত্র।