scorecardresearch
 

Israel Iran Attack: বদলা নিল ইজরায়েল? ইরানে একের পর এক বিস্ফোরণ, কী অবস্থা, দেখুন

Israel Iran Attack: বদলা নিল ইজরায়েল। শনিবার সরাসরি ইরানে এয়ারস্ট্রাইক করলেন বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। ইজরায়েল বলছে, 'মাসের পর মাস টানা হামলা'র জবাব এটা। 

Advertisement
ইরানকে পাল্টা জবাব দিল ইজরায়েল। ইরানকে পাল্টা জবাব দিল ইজরায়েল।

Israel Iran Attack: বদলা নিল ইজরায়েল। শনিবার সরাসরি ইরানে এয়ারস্ট্রাইক করলেন বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। ইজরায়েল বলছে, 'মাসের পর মাস টানা হামলা'র জবাব এটা। যদিও ইরানের ডিফেন্স সিস্টেমও কম নয়। বেশিরভাগ হানা-ই রুখে দেওয়া গিয়েছে বলে জানিয়েছে ইরান। ফলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কম বলেই দাবি করছে তারা। 

শনিবার ইরানের রাজধানী তেহরান ও সংলগ্ন শহরতলিতে প্রায় ৩ রাউন্ড এয়ারস্ট্রাইক চালানো হয়। হামলার আগেই যদিও ইজরায়েলি ডিফেন্স ফোর্স ঘোষণা করে দিয়েছিল। তারা জানিয়েছিল, ইরানের 'মিলিটারি টার্গেটে' এই হামলা চালানো হবে।

পাল্টা বিবৃতি জারি করে ইরান। তারা বলছে, 'সফলভাবে' ইজরায়েলের হামলা রুখে দেওয়া গিয়েছে। কিছু-কিছু জায়গায় সীমিত পরিমাণে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। 

আরও পড়ুন

তবে ইজরায়েল কিন্তু বলছে, সমস্ত লক্ষ্য বা টার্গেটেই তারা সফলভাবে হানা চালিয়েছে। কাদের দাবি সত্যি, তা বোঝা মুশকিল। তবে এটুকু বলা যেতেই পারে যে, এদিন ইজরায়েলের হামলায় তেহরান ও সংলগ্ন বিস্তীর্ণ এলাকা তছনছ হয়ে গিয়েছে। 

কোনও শহরের একটি নির্দিষ্ট স্থানেই এয়ারস্ট্রাইক চালালে সমগ্র এলাকাতেই তার প্রভাব পড়ে। ফলে সেদিক দিয়ে ইজরায়েল সফল হয়েছে বলাই যায়। তাছাড়া ইরান আবার পাল্টা বলছে, ইজরায়েলের এই আগ্রাসনের পাল্টা জবাব দেওয়া হবে। ফলে পরিস্থিতি যে ক্রমেই উত্তপ্ত হচ্ছে, তা বলাই যায়। 

ইজরায়েলি মিলিটারি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা ন্যায়সম্মত কারণে, দায়িত্ব পালনের স্বার্থেই এই হামলা চালিয়েছে। শুধুমাত্র ইরানের মিলিটারি ক্ষেত্রগুলিতেই হামলা চালানো হয়েছে বলে বলা হয়েছে। অর্থাৎ সাধারণ জনবসতিতে হামলা চালানো হয়নি বলেই দাবি ইজরায়েলের। 

ইরানের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট বলছে, তেহরানের আশেপাশে, করাজ শহরের কাছে বিস্ফোরণের তীব্র শব্দ শোনা যায়। যদিও ঠিক কী ধরণের বোমার থেকে এই বিস্ফোরণগুলি হয়েছে, তা স্পষ্ট করে সেই রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়নি। স্থানীয়দের মতে, অন্তত ৭টি বড় বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গিয়েছে। কিন্তু তাদের দাবি, ইজরায়েলের সমস্ত হামলা আকাশপথেই রুখে দিয়েছে তারা। ফলে ইজরায়েল কার্যত তাদের ছুঁতে পারেনি বলে দাবি করছে ইরান। এই নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় নানা মিমও পোস্ট করছে তারা। 
 

Advertisement

অন্যদিকে ইজরায়েলের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যম বলছে, এই মিশনে কয়েক ডজন ফাইটার জেট পাঠানো হয়েছিল। ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রী জোয়াভ গ্যালান্ট পুরো এয়ারস্ট্রাইকের মিশনটি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করেছিলেন। পুরো সময়টা তাঁরা তেল আভিভের সেনা হেডকোয়ার্টারে ছিলেন। নেতানিয়াহুর অফিস সূত্রে এমনটা জানা গিয়েছে। 

উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, ইরানের নিউক্লিয়ার ফেসিলিটি বা শক্তি উৎপাদন কেন্দ্রগুলি স্পর্শ করেনি ইজরায়েল। যুদ্ধ পরিস্থিতিতেও সেই নীতি বজায় রেখেছে ইজরায়েল। এর আগে একাধিক রিপোর্টে বলা হয়েছিল, সম্ভবত ইরানের তৈল উৎপাদন কেন্দ্রগুলিতে হামলা চালানো হতে পারে। কিন্তু সেটা করা হয়নি। 

ইজরায়েলের এই হামলার পর কি ইরান কিছুটা পিছিয়ে আসবে? নাকি ইরান পাল্টা হামলা চালিয়ে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হবে? এর উত্তর সময়ই দেবে। গোটা বিষয়টা সম্পর্ক আপনার মতামত জানান কমেন্টে।

Advertisement