পঞ্চম দিনে ইজরায়েল এবং হামাসের যুদ্ধ। ইজরায়েল গাজা ভুখণ্ডে সেনা, রকেট হানা চালাচ্ছে। সেই সঙ্গে বিমান হামলা চালিয়ে আরও সজোরে আক্রমণ হানার প্রস্তুতি নিচ্ছে ইজরায়েল। ইজরায়েলি সেনাবাহিনী দক্ষিণ ইজরায়েলে তাদের সেনাদের একত্রিত করছে। ভারী সামরিক সরঞ্জাম সহ রিজার্ভ বাহিনীর আরও সদস্যদেরও ডাকা হয়েছে। ইজরায়েলের উপর হামাসের হামলা এবং গাজায় পাল্টা বিমান হামলার জেরে মোট মৃতের সংখ্যা এখনও পর্যন্ত ৩,০০০ ছাড়িয়ে গিয়েছে।
ইজরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী যদিও ইতিমধ্যেই বড়সড় ঘোষণা করে দিয়েছে। তাদের দাবি, গাজা সীমান্তবর্তী দক্ষিণ ইজরায়েলের নিয়ন্ত্রণ ফের হাতে এসে গিয়েছে।
গাজার কিজান-আন-নাজ্জার এলাকায় হামাসের সামরিক কমান্ডার মোহাম্মদ দেইফের বাড়ি লক্ষ্য করে ইজরায়েলের বিমান হামলা চালানো হয়।
ইজরায়েল ঘোষণা করেছে, তাদের সেনাবাহিনী হামাস সন্ত্রাসবাদীদের কাছ থেকে গাজা সীমান্ত এলাকা পুনরুদ্ধার করেছে। ইজরায়েলি সেনাবাহিনী এই অঞ্চলের বেশ খানিকটা এলাকা ও রাস্তার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে 'উন্নত' মানের বোমা-মিসাইল সহ প্রথম বিমান ইতিমধ্যেই ইজরায়েলের নেভাটিম বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করেছে। ইজরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী এমনটাই জানিয়েছে। মার্কিন সরকার এই লড়াইয়ে ইজরায়েলের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছে।
সর্বশেষ বিবৃতিতে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইসরায়েলের প্রতি সমর্থনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। জো বাইডেন হামাসের হামলার কড়া নিন্দা করেছেন।
প্রতিটা আক্রমণের পাল্টা জবাব দিয়ে চলেছে ইজরায়েলি সেনাবাহিনী। মঙ্গলবার গোলান হাইটস এলাকায় রকেট ছোড়ার পরেই ইজরায়েলি সেনাবাহিনী পাল্টা সিরিয়ায় গোলাবর্ষণ শুরু করে। 'ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে সিরিয়া থেকে বেশ কয়েকটি রকেট লঞ্চ করা হয়েছিল। এই রকেটগুলি ইসরায়েলি ভূখণ্ডে প্রবেশ করেছিল। সম্ভবত খোলা, ফাঁকা জায়গায় পড়েছিল...' জানিয়েছে ইজরায়েলি সেনাবাহিনী।