scorecardresearch
 

Donald Trump : 'আগামী ৪ বছর ভালো যাবে না...', ট্রাম্পের জয়ে আতঙ্কিত মুসলিম দেশগুলো?

আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থী কমলা হ্যারিস বিগত কয়েক মাসে ব্যাপক প্রচার চালালেও শেষ হাসি হেসেছেন ট্রাম্প। তাঁর জয়ের ফলে গোটা বিশ্বের মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।

Advertisement
Donald Trump Donald Trump
হাইলাইটস
  • ট্রাম্পের জয়ের পর কী ভাবছে মুসলিম দেশগুলো ?
  • একাধিক মুসলিম প্রধান দেশের সংবাদমাধ্যম কী বলছে? জানুন

আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থী কমলা হ্যারিস বিগত কয়েক মাসে ব্যাপক প্রচার চালালেও শেষ হাসি হেসেছেন ট্রাম্প। তাঁর জয়ের ফলে গোটা বিশ্বের মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। ইজরায়েল-গাজা যুদ্ধ এই নির্বাচনকে প্রভাবিত করেছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে একাধিক প্রতিবেদনে। ট্রাম্প জেতার ফলে আগামী ৪ বছর মুসলিম দেশগুলো একটু গুটিয়ে থাকবে বলেও দাবি করা হচ্ছে একাধিক সংবাদপত্রে। 

'আরব নিউজ' ওয়েবসাইট ইজরাইল-গাজা যুদ্ধকে ট্রাম্পের জয় এবং কমলা হ্যারিসের পরাজয়ের কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছে। সেখানে উল্লেখ, কমলা হ্যারিস ফিলিস্তিন সমর্থকদের সমর্থন করেননি। যার প্রভাব ভোটবাক্সে দেখতে পেয়েছেন। গত এক বছরে ডেমোক্রেটিক পার্টি ইজরায়েলের পক্ষে সমর্থন দিয়ে এসেছেন। তারপর থেকে উদারপন্থী ভোটাররা কোন দিকে যাবেন তা বোঝা যায়নি। কমলা হ্যারিস ফিলিস্তিনিদের প্রতি সহানুভূতি দেখাতে ব্যর্থ হয়েছেন। তারপরও ফিলিস্তিনি সমর্থকদের অনেকেই কমলা হ্যারিসকে ভোট দিয়েছেন। কারণ, ব্যক্তিগত স্বার্থ। আবার এক দল মনে করেছিল, ট্রাম্প জিতলে  যুদ্ধবিরতির দিকে এগিয়ে যাওয়া সহজ হতে পারে।

'দ্য নিউজ আরব' ওয়েবসাইটের আর একটি নিবন্ধে, একজন সিরিয়ান আমেরিকান লেখক বলেছেন, ডোনাল্ড ট্রাম্প কে তা মনে রাখার দরকার নেই। তবে তিনি হোয়াইট হাউসে মুসলিম বিরোধী এজেন্ডা ছড়িয়ে দিয়েছেন। তাঁর লেখা, 'আমাদের জনগণকে নিষিদ্ধ করেছেন। সকল আন্তর্জাতিক নিয়ম উপেক্ষা করেও প্রকাশ্যে ইজরাইলকে সমর্থন করেছেন।' 

আরও পড়ুন

নিবন্ধে বলা হয়েছে, এবারের নির্বাচনে তিনি কিছু লোককে বলতে শুনেছেন যে রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থীকে সমর্থন করে ডেমোক্রেটিক পার্টিকে শিক্ষা দিন। নিবন্ধে আরও বলা হয়েছে, ট্রাম্পের ইতিহাস যদি এমন না হত, তাহলে ডেমোক্রেটিক পার্টির বিরুদ্ধে জনগণের অনুভূতি বোঝা যেত। কিন্তু যে ব্যক্তি মুসলমানদের সর্বোচ্চ ক্ষতি করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তাকে জেনেশুনে সাহায্য করা একেবারেই বুদ্ধিমানের মতো কাজ হবে না। আরব নিউজ ট্রাম্পের একজন ইসরায়েলি সমর্থককে উদ্ধৃত করে বলেছে, 'ট্রাম্প কখনই ইজরায়েলকে যুদ্ধবিরতির জন্য চাপ দেবেন না। ইসরায়েলকে লেবাননের সঙ্গে এমন একটি শান্তি চুক্তি করার জন্য চাপ দেবেন যাতে সেখানে হিজবুল্লাহ শক্তিশালী হয়।' 

Advertisement

নিউজ চ্যানেল 'আল জাজিরা'র নিবন্ধে বলা হয়েছে, বিপুল সংখ্যক আরব আমেরিকান এবং অন্য মুসলিম বিডেনকে সমর্থন করেননিষ কারণ, বিডেন প্রশাসনের ইজরায়েলের প্রতি সমর্থন। কিছু সময় আগে, ইনস্টিটিউট ফর সোশ্যাল পলিসি অ্যান্ড আন্ডারস্ট্যান্ডিং-এর প্রাক্তন গবেষণা পরিচালক ডালিয়া মোগাহেদ সতর্ক করে বলেছিলেন, কমলা হ্যারিসের ইজরায়েলপন্থী অবস্থান নির্বাচনে তাকে ক্ষতির মুখে ফেলতে পারে। তবে তিনি আরও বলেন, হ্যারিসের পরাজয়ের জন্য কোনো বিশেষ গোষ্ঠীকে দায়ী করা ঠিক হবে না। ডালিয়া আরও বলেন, ২০১৬ সালে ট্রাম্প যখন প্রথম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন, তখন মুসলিম ও আরব জনগণকে ট্রাম্পের নীতির শিকার হয়েছিলেন। ২০১৭ সালে ট্রাম্প ৭টি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশের উপর ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিলেন। তিনি আরও বলেন, ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে মুসলিমরা খুব বিচ্ছিন্ন বোধ করতে পারে। অসহায় বোধ করতে পারে। 

প্রসঙ্গত, ট্রাম্প যখন প্রথম ক্ষমতায় এসেছিলেন সেই মাসেই তিনি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ ইরাক, সিরিয়া, ইরান, লিবিয়া, সোমালিয়া, সুদান এবং ইয়েমেনের লোকদের আমেরিকায় আসা নিষিদ্ধ করেছিলেন। সিরিয়ার শরণার্থীদের জন্যও অনির্দিষ্টকালের নিষেধাজ্ঞাও জারি করেছিলেন। এই নির্বাচনে ট্রাম্প হয়তো মুসলিম ভোটারদের আকৃষ্ট করার চেষ্টা করেছেন, কিন্তু তার সমাবেশে তিনি ক্রমাগত পুনর্ব্যক্ত করেছেন যে তিনি যদি আবার রাষ্ট্রপতি হন তবে তিনি আবারও কিছু মুসলিম দেশের নাগরিকদের আমেরিকায় আসা নিষিদ্ধ করবেন। 
 

Advertisement