scorecardresearch
 

NASA DART Mission : মঙ্গলের ভোরে NASA-র হাড় হিম করা মিশন, রইল লাইভ ফুটেজের লিঙ্ক

মঙ্গলবার ভোর পাঁচটা নাগাদ, নাসার ডার্ট মিশন ডিডিমোস এবং তার চাঁদের মতো পাথর ডিমারফোসকে আক্রমণ করবে। DART মিশন মানে ডাবল অ্যাস্টেরয়েড রিডাইরেকশন টেস্ট (DART)। উদ্দেশ্য গ্রহাণুর সঙ্গে সংঘর্ষের মাধ্যমে মহাকাশযানের গতিপথ পরিবর্তন করা। নাসার এই অভিযান সফল হলে ভবিষ্যতে পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসা বিপজ্জনক গ্রহাণুগুলিকে প্রতিরোধ করা যাবে, অথবা তাদের দিক পরিবর্তন করা হবে।

Advertisement
ছবি সূত্র- নাসা ছবি সূত্র- নাসা
হাইলাইটস
  • ভয়ঙ্কর মিশন নাসার
  • হতে চলেছে মঙ্গলবার ভোরে
  • দেখা যাবে লাইভ

আগামিকাল মঙ্গলবার, তারিখ ২৭-০৯-২০২২। ভোর পাঁচটা নাগাদ, নাসার ডার্ট মিশন ডিডিমোস এবং তার চাঁদের মতো পাথর ডিমারফোসকে আক্রমণ করবে। DART মিশন মানে ডাবল অ্যাস্টেরয়েড রিডাইরেকশন টেস্ট (DART)। উদ্দেশ্য গ্রহাণুর সঙ্গে সংঘর্ষের মাধ্যমে মহাকাশযানের গতিপথ পরিবর্তন করা। নাসার এই অভিযান সফল হলে ভবিষ্যতে পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসা বিপজ্জনক গ্রহাণুগুলিকে প্রতিরোধ করা যাবে, অথবা তাদের দিক পরিবর্তন করা হবে।

৮ পয়েন্টে জানুন কী কী হতে চলেছে আগামিকাল?

১. ডার্ট মিশন কি?  ডার্ট মিশনে ডিডিমোস গ্রহাণু চাঁদ ডিমারফসের সঙ্গে সংঘর্ষ করবে। এভাবে উভয়েরই দিক পরিবর্তন হবে। আর সত্যিই দিক পরিবর্তন হলে তা হবে বড়সড় সাফল্য। এই মহাকাশযানটি ঘণ্টায় প্রায় ২৪ হাজার কিলোমিটার বেগে গ্রহাণুটিতে আঘাত হানবে।

২. কোন প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে? সংঘর্ষের ঠিক আগে সেটি ডিডাইমোস গ্রহাণুর বায়ুমণ্ডল, মাটি, পাথর এবং গঠন অধ্যয়ন করবেন। এই মিশনে ব্যবহার করা হচ্ছে কাইনেটিক ইমপ্যাক্টর টেকনিক। অর্থাৎ মহাকাশযানের সঙ্গে সংঘর্ষের পর দিক পরিবর্তনের চেষ্টা চলছে।

৩. গ্রহাণুটি কী এবং সেটির চাঁদের আকার কেমন? Didymos এর মোট ব্যাস ২৬০০ ফুট। Dimorphos এর চারপাশে ঘোরে। এর ব্যাস ৫২৫ ফুট। সংঘর্ষের পরে, উভয় পাথরের গতিপথ এবং গতির পরিবর্তনগুলি অধ্যয়ন করা হবে।

৪. কীভাবে এই ইভেন্ট লাইভ দেখা যাবে? যদি এই ইভেন্টটি লাইভ দেখতে চান, তাহলে ইংরেজিতে লেখা এই দুটি নীল শব্দ 'NASA Television'-এ ক্লিক করতে হবে। অথবা নাসার মিডিয়া চ্যানেলে ক্লিক করেও ইভেন্টের কভারেজ দেখতে পারেন।

৫. কেন এই মিশন? NASA পৃথিবীর চারপাশে ৮০০০ টিরও বেশি নিয়ার-আর্থ অবজেক্ট (NEO) রেকর্ড করেছে। এর মধ্যে কয়েকটির ব্যাস ৪৬০ ফুটের বেশি। অর্থাৎ সেগুলির কোনওটি যদি পৃথিবীতে পড়ে তাহলে তা আমেরিকার যে কোনও একটি রাজ্যকে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করে দিতে পারে। ২০১১ সালে জাপানের সুনামির চেয়েও ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটতে পারে।

৬. ভরসা শুধু ... - নাসা আশ্বস্ত করেছে যে পৃথিবীর চারপাশে যে ৮০০০ টি পাথর ঘুরছে সেগুলির একটিও আগামী ১০০ বছরে পৃথিবীতে আঘাত করবে না। কিন্তু মহাকাশের কোনও বিষয় নিশ্চিতভাবে বলা যায় না। গতি, সংঘর্ষ, মাধ্যাকর্ষণ বা অন্য কোনও কারণে গ্রহাণুর দিক পরিবর্তন হলে আর রক্ষে নেই।

ছবি সূত্র- নাসা
ছবি সূত্র- নাসা

৭. DART-এর উপর নজর রাখবে Licia Cubes - অভিযানে সামিল থাকছে Light Italian CubeSat for Imaging Asteroids (LICIACube), সংঘর্ষের সময় গ্রহাণুর কাছাকাছি চলে যাবে যাতে সমস্ত ছবি তুলতে পারে।

৮. উচ্চ গতিতে সংঘর্ষ করতে পারে না যান - উচ্চ গতিতে ডাইমরফসের সঙ্গে মহাকাশযানের সংঘর্ষ হতে পারে না। বিপদ হল ডিডাইমোসের সঙ্গে সংঘর্ষের পরিবর্তে এটি মহাকাশে অন্য কোন দিকেও চলে যেতে পারে। তাহলে মিশন ব্যর্থ হবে।

আরও পড়ুনস্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায় এই বীজ, বলছে গবেষণার রিপোর্ট

 

Advertisement