Nepal Earthquake: শুক্রবার গভীর রাতে কেঁপে উঠল নেপাল। ৬.৪ মাত্রার ভূমিকম্পে প্রায় ৬৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। জাতীয় ভূমিকম্প পরিমাপ কেন্দ্রের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, জাজারকোট জেলার লামিডান্ডা এলাকায় ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল।
সংবাদসংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাজারকোটের এক স্থানীয় আধিকারিকের কথায়, সেই জেলায় প্রায় ৩৪ জন নিহত হয়েছেন। প্রতিবেশী পশ্চিম রুকুম জেলাতেও অন্তত ৩৫ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে বলে জানিয়েছেন এক পুলিশ আধিকারিক।
নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দাহালের দফতর জানিয়েছে, আহতদের দ্রুত উদ্ধার ও ত্রাণের জন্য দেশের তিনটি নিরাপত্তা সংস্থাকে একত্রিত করা হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক জানিয়েছে, দাইলেখ, সালিয়ান এবং রোলপা সহ অন্যান্য জেলা থেকেও আহত এবং সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতির খবর আসছে।
আহতদের জাজারকোট জেলা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
জাজারকোট কাঠমান্ডু থেকে প্রায় ৫০০ কিলোমিটার পশ্চিমে অবস্থিত।
হিমালয়ের দেশ নেপালে প্রায়সই ভূমিকম্প ঘটে।
এর আগে ৩ অক্টোবর, ৬.২ মাত্রার ভূমিকম্পে দিল্লি-এনসিআর এলাকা সহ উত্তর ভারতের বেশ কিছু অংশে কম্পন অনুভূত হয়। সেই সময়ে নেপালেও ভূমিকম্প টের পাওয়া গিয়েছিল।
এক বছর আগেই, ২০২২ সালের নভেম্বরে, ডোটি জেলায় ৬.৩ মাত্রার ভূমিকম্পে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছিল। পর পর ভূমিকম্পে সেবারেও কেঁপে উঠেছিল নেপাল।
এছাড়া ২০১৫ সালে নেপালের ভয়াবহ ভূমিকম্পের ক্ষত এখন রয়েছে নেপাল তথা প্রতিবেশ দেশগুলির মনে। সেবার ভয়াবহ, ৭.৮ মাত্রার তীব্র ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছিল নেপাল। ২০১৫ সালের সেই ভূমিকম্পে ১২ হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। নেপালের প্রায় ১০ লক্ষেরও বেশি বাড়ি সেই ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।
রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রার তুলনা
সাধারণত ৬.০-৬.৯ মাত্রার ভূমিকম্পকে 'শক্তিশালী' বলা হয়। এর ফলে সাধারণভাবে নির্মিত বাড়ি-বিল্ডিংয়ের কাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। উপকেন্দ্র থেকে শত শত কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত এলাকায় কম্পন অনুভূত হয়। বিশ্বে প্রতি বছর গড়ে ১০০ থেকে ১৫০ বার এমন মাত্রার ভূমিকম্প হয়।
অন্যদিকে ৭.০-৭.৯ মাত্রার ভূমিকম্পকে 'মেজর' বলা হয়। এই তীব্র ভূমিকম্পের ফলে বেশিরভাগ বাড়ির কাঠামোই ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কিছু ক্ষেত্রে তা আংশিক বা সম্পূর্ণভাবে ধসে পড়ে বা মারাত্মক ক্ষতি হয়। কেন্দ্র থেকে ২৫০ কিমি পর্যন্ত ভূমিকম্পের তীব্রতা অনুভূত হয়। প্রতি বিশ্বজুড়ে বছর গড়ে ১০ থেকে ২০টি এমন ভূমিকম্প হয়।