বিমানবন্দর, রেলস্টেশনে প্রিয়জনকে বিদায় জানানোর দৃশ্য খুবই চেনা। মাথায় চুমু এঁকে দেওয়া থেকে জড়িয়ে ধরা- নানাভাবে মানুষ প্রিয়জনকে বিদায় জানান। নিউজিল্যান্ডে কিন্তু বিদায় জানাতে গিয়ে বেশি সময় ধরে জড়িয়ে ধরলে সমস্যায় পড়তে পারেন। অতিসম্প্রতি কতক্ষণ আলিঙ্গন করা যাবে প্রিয় মানুষকে তার নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে সে দেশের বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।
বিমানবন্দর, রেলস্টেশনে প্রিয়জনকে বিদায় জানানোর দৃশ্য খুবই চেনা। মাথায় চুমু এঁকে দেওয়া থেকে জড়িয়ে ধরা- নানাভাবে মানুষ প্রিয়জনকে বিদায় জানান। নিউজিল্যান্ডে কিন্তু বিদায় জানাতে গিয়ে বেশি সময় ধরে জড়িয়ে ধরলে সমস্যায় পড়তে পারেন। অতিসম্প্রতি কতক্ষণ জড়িয়ে ধরা যাবে প্রিয় মানুষকে তার নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে সে দেশের বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।
আলিঙ্গনের সময়সীমা কেন বেঁধে দেওয়া হল? কর্তৃপক্ষের ব্যাখ্যা, ড্রপ-অফ জোনে বেশি ভিড় এড়াতেই এই সিদ্ধান্ত। তাছাড়া নিরাপত্তার দিক থেকেও এখানে অকারণে ভিড় কাম্য নয়। এজন্যই আলিঙ্গনের জন্য সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে বিমানবন্দরে অপ্রয়োজনীয় বিশৃঙ্খলা তৈরি হবে না। অতিরিক্ত ভিড় কমানো যাবে। ফলে সাধারণ যাত্রীদের নিরাপত্তায় কোনও ধরনের সমস্যা হবে না।
বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের যুক্তি, ২০ সেকেন্ডের আলিঙ্গনই অক্সিটোসিন মুক্ত করার জন্য যথেষ্ট। তার পরেও প্রকাশ্যে আলিঙ্গন ভালো দেখায় না। যাঁরা পরিবারের সদস্যকে বা প্রিয়জনকে ছাড়তে এসেছেন, তাঁদের জন্য অল্প সময়ই যথেষ্ট। ড্রপ-অফ জোন সকলের ব্যবহারের জন্য। কিন্তু, অনেকেই খুব বেশি সময় নিচ্ছিলেন। এ কারণে অন্যদের জন্য কোনও জায়গা থাকছিল না।
ডুনেডিন বিমানবন্দরের এই নিয়মের জন্য হচ্ছে বিস্তর সমলোচনা। এটা ব্যক্তিগত স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ বলে দাবি নিন্দুকদের। ডুনেডিন বিমানবন্দরের সিইও ড্যানিয়েল ডি বোনো যাবতীয় সমালোচনা উড়িয়ে দিয়েছেন। তাঁর ব্যাখ্যা,'মাত্র ২০ সেকেন্ডের আলিঙ্গনই প্রেমের হরমোন অক্সিটোসিন বের হওয়ার জন্য যথেষ্ট। কয়েকজন ভিড় করে থাকলে অন্যদের অসুবিধা হয়। সকলেই চান প্রিয়জনকে আলিঙ্গন করতে'।