১৯৬৯ সালের ২১ জুলাই মার্কিন মহাকাশচারী নীল আর্মস্ট্রং চাঁদের মাটিতে প্রথম মানুষ হিসাবে পদার্পণ করে ইচিহাস গড়েছিলেন। পৃথিবীর একমাত্র এই উপগ্রহকে ঘিরে মানুষের উৎসাহের কোনও শেষ নেই। এখনও মহাকাশ গবেষকরা নিময়িত অভিযান চালাচ্ছেন চাঁদের মাটিতে। পৃথিবীতে যেভাবে জনসংখ্যা বাড়ছে তাতে অদূর ভূবিষ্যতে চাঁদে গিয়েই থাকতে হবে না, তাই বা কে বলতে পারে। এমনকি প্রয়াত অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতও নাকি চাঁদে জমি কিনেছিলেন। সেই চাঁদেই এবার মিলতে চলেছে হাই স্পিড ইন্টারনেট। শুনতে অবাক লাগলেও সত্যিই এমন ঘটনা ঘটতে চলেছে। জানা যাচ্ছে চাঁদের মাটিতে এই 4G নেটওয়ার্ক পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব নিয়েছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা 'নাসা'।
চাঁদের মাটিতে মানুষের পদার্পণের ৫৫ বছর পর ফের পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহটিতে দু'জনকে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে নাসা। যারমধ্যে রয়েছে একজন মহিলা মহাকাশচারীও। ২ মহাকাশচারী ৭ দিনের জন্য চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবস্থান করবেন। তার আগেই অবশ্য চাঁদের মাটিতে পাতা হয়ে যাবে ৪ জি নেটওয়ার্কের লাইন। এই নিয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা এসেছে গত ১৫ অক্টোবর। নাসা এবং বেল ল্যাবস দুই তরফই এই ব্যাপারে বিবৃতি দিয়েছে। বিখ্যাত ফোন প্রস্তুতকারক সংস্থা নোকিয়ার গবেষণাকারী দল বেল ল্যাবসের সঙ্গে মিলেই চাঁদে 4G এলটিই কানেকটিভিটি পৌঁছে দেবে মার্কিন গবেষণা সংস্থাটি।
গোটা পরিকল্পনাটি বাস্তবায়িত করতে খরচ ধরা হয়েছে ৩৭০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এর মধ্যে নাসা দিচ্ছে ১৪.১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। বেল ল্যাবসের তরফে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘চাঁদে 4G LTE পরিষেবা দিতে নাসার সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করব আমরা। চাঁদের মাটিতে মানুষের বসবাসের উপযুক্ত পরিবেশ গড়ে তুলতে এটা অনেকটাই সাহায্য করবে। প্রথমে নাসার সাহায্যে আমরা সেখানে 4G পরিষেবা চালু করব। তারপর সেটিকে 5G পরিষেবায় পরিণত করা হবে।’’
To the moon! 🌕
— Bell Labs (@BellLabs) October 15, 2020
We are excited to have been named by @NASA as a key partner to advance “Tipping Point” technologies for the moon, to help pave the way towards sustainable human presence on the lunar surface.
So, what technology can you expect to see? (1/6) pic.twitter.com/wDNwloyHdP
নাসা-র স্পেস টেকনোলজি মিশন এর দায়িত্বে থাকা জিম রয়টার জানিয়েছেন, চাঁদের মাটিতে সেলুলার কানেকটিভিটি ভালো হলে মহাকাশচারীদের মধ্যে যোগাযোগ রাখা আরও সহজ হয়ে উঠবে। ২০২৮-এর মধ্যে চাঁদে মানুষের থাকার মত পরিবেশ-পরিস্থিতি তৈরি করে ফেলতে চায় নাসা। তবে চাঁদে একেবারে কেন 5G নেটওয়ার্ক বসানোর পরিকল্পনা নেওয়া হল না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন অনেকেই। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পৃথিবীর সর্বত্রই এখন দ্রুতগতির 5G নেটওয়ার্ক আসেনি। তাই চাঁদে এর কার্যক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। এই অবস্থায় বিশ্বস্ত 4G নেটওয়ার্কের উপরেই ভরসা রাখতে চাইছে নাসা।