পাকিস্তানের অর্থনৈতিক সংকট আরও বেড়েছে। অবস্থা এখন এমন অবস্থায় পৌঁছেছে যে, পেনশনভোগীদের টাকায় হাত দিতে চলেছে সেই দেশের সরকার। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (IMF) দারিদ্র্যসীমায় পৌঁছে যাওয়া পাকিস্তানকে ঋণ দিলেও একের পর এক কঠোর শর্ত আরোপ করেছে। তার মধ্যে অন্যতম হল পাকিস্তান সরকারকে পেনশনভোগীদের ওপর কর আরোপের নির্দেশ। ১ লাখ টাকার বেশি পেনশনের উপর ট্যাক্স দিতে হবে পেনশনভোগীদের।
দেশ চালানোর জন্য চিনসহ নানা দেশ থেকে থেকে ঋণ নিয়েছে পাকিস্তান। IMF-ও বড় ধরনের ঋণ দিয়েছে। তবে সেই ঋণ যেন পাকিস্তান শোধ করতে পারে সেদিকেও খেয়াল রেখে কঠোর শর্ত আরোপ করেছে তারা। এএনআই-তে প্রকাশিত এআরওয়াই নিউজের প্রতিবেদন অনুসারে, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল পাকিস্তান সরকারকে বলেছে, যে যে পেনশনভোগী ১ লাখ টাকার বেশি পেনশন পাচ্ছেন, তাঁদের উপর কর আরোপ করা উচিত।
প্রসঙ্গত, গতবার যখন IMF পাকিস্তানকে ঋণ দেয় তখনও তাদের এরকমই কিছু শর্ত দিয়েছিল। সেবার আইএমএফ সাফ জানিয়েছিল, পেট্রোল, ডিজেল ও বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর পাশাপাশি ১০ শতাংশ ট্যাক্স বাড়াতে হবে। চাপে পড়ে পাকিস্তান সরকার তা মেনেও নিয়েছিল।
এবার IMF পাকিস্তানে পেনশনভোগীদের উপর কর আরোপের শর্ত আরোপ করেছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, IMF পাকিস্তানকে মাসিক পেনশনের উপর 'কর আরোপ' করার শর্ত দিয়েছে। IMF দেখেছে, পাকিস্তানে বিক্রয় কর সংগ্রহ ব্যবস্থা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। এর কারণ হল কেন্দ্র পণ্যের উপর বিক্রয় কর আদায় করছে এবং রাজ্য পরিষেবার উপর বিক্রয় কর আদায় করছে। আইএমএফ পরামর্শ দিয়েছে, এই কর সংগ্রহ শুধুমাত্র ফেডারেল সরকার দ্বারা করা উচিত।
উল্লেখ্য, গত জানুয়ারি মাসে পাকিস্তানে একপিস ডিমের দাম ছিল ৩৩ টাকা। এক কেজি পেঁয়াজ ২৫০ টাকা। IMF সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছিল, লাহোরে ১২টি ডিমের দাম ৪০০ টাকা। ডিমের দাম শুধু নয়, পাল্লা দিয়ে বেড়েছিল পেঁয়াজের দামও। প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ছিল ২৩০ থেকে ২৫০ টাকা। সরকারের তরফে সেই দাম ১৭৫ টাকা নির্ধারণ করা হলেও তা মানেনি বিক্রেতারা।