ভারত ও রাশিয়ার সম্পর্ক সব সময় ভালো ছিল, আছে ও থাকবে। মস্কোতে বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক প্রসঙ্গে রাজ কাপুর ও মিঠুন চক্রবর্তীর প্রসঙ্গও তোলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি জানান, এক সময় রাশিয়ার রাজ কাপুর ও মিঠুন দা খুব জনপ্রিয় ছিলেন। রাশিয়ার ঘরে ঘরে মিঠুনদার সিনেমা চলত।
মোদী বলেন, 'আমাদের দুই দেশের মধ্যে পারস্পরিক বোঝাপড়া রয়েছে। সর পে লাল টুপি...। এই গান পুরোনো হয়ে গেলেও এর আবেগ এখনও অক্ষত আছে। পুরোনো দিনে শ্রীমান রাজ কাপুর, মিঠুনদা ভারত ও রাশিয়ার সাংস্কৃতিক মেলবন্ধনকে দৃঢ় করেছেন। ভারতের সিনেমা রাশিয়ার সঙ্গে জুড়ে ছিল এক সময়। আজ এই দেশে যে সব ভারতীয়রা বসবাস করেন তাঁরা দুই দেশের সম্পর্ককে মজবুত করছেন।বলা যেতে পারে রাশিয়াতে ভারতের যাঁরা রয়েছেন, তাঁরা হলেন আসল ভারতীয় দূত।'
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, 'ভারত-রাশিয়ার বন্ধুত্ব মজবুত করার পিছনে পুতিনের লিডারশিপেরও কৃতিত্ব রয়েছে। উনি দশকের পর দশক এই পার্টনারশিপকে মজবুত করার জন্য এফর্ট দিয়েছেন। আজ ভারতের বহু ছাত্রছাত্রী রাশিয়ায় পড়তে আসে। এই বিশ্বাস ও নির্ভরযোগ্যতা রাশিয়ার প্রতি আমাদের আছে।'
প্রসঙ্গত, আটের দশকে সারা বিশ্বেই ডিস্কো জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। যদিও হলিউড বহু আগে থেকেই ডিস্কোর সঙ্গে পরিচিত ছিল। বিশ্বে প্রচলিতও ছিল। তবে সেই সময় হলিউড ছবি সেভাবে রাশিয়াতে যেত না। ফলে সেখানকার মানুষের কাছে ডিস্কোর চাহিদা ছিল।
সালটা ১৯৮২। মুক্তি পায় ‘ডিস্কো ডান্সার’। মিঠুনের সেই ছবিতে Jimmy Jimmy Jimmy Aaja গানটি ছিল। সেই ছবিটি বক্স অফিসে আলোড়ন ফেলে দেয়। এমনকী রাশিয়াতেও এই গান জনপ্রিয় হয়। এতটাই জনপ্রিয় হয় যে, কার্যত রাশিয়ান স্টার হয়ে ওঠেন মিঠুন। সেই থেকে মিঠুনের জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকে। তারপর থেকে তিনি যতবার রাশিয়া গিয়েছেন, ভালোবাসা তাঁকে ভরিয়ে দিয়েছে সেই দেশ।
মস্কোতে প্রধানমন্ত্রী মোদী আরও বলেন, বর্তমানে ভারত বদলে যাচ্ছে। ১৪০ কোটি দেশবাসী এখন নিজেকে বিশ্বাস করে। ভারত তার সামর্থ্যের উপর আস্থা রাখে। ভারত ডিজিটাল লেনদেনের সবচেয়ে বড় মডেল। ভারত কঠোর পরিশ্রম করছে। বিদেশে বসবাসকারী ভারতীয়রা আজ ভারতকে নিয়ে গর্বিত।
তিনি বলেন, '২০১৪ সালের আগে আমরা হতাশার গর্তে তলিয়ে গিয়েছিলাম, হতাশা ও আশাহীনতা আমাদের গ্রাস করেছিল। তবে দেশ আজ আত্মবিশ্বাসে ভরপুর। একই রোগের দুইজন রোগী হাসপাতালে থাকলে চিকিৎসকদেরও সমান যোগ্যতা থাকতে হবে। কিন্তু একজন রোগী যদি হতাশায় থাকে এবং অন্যজন আত্মবিশ্বাসে ভরপুর থাকে, তাহলে আপনি নিশ্চয়ই দেখেছেন যে আত্মবিশ্বাসী রোগী সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে আসেন।'