ইউক্রেন সফরে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁর এই সফর রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে চলমান যুদ্ধের অবসান ঘটাতে সাহায্য করতে পারে বলে মনে করেছেন রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির আমন্ত্রণে কিভে পৌঁছন প্রধানমন্ত্রী মোদী। পোল্যান্ড থেকে তিনি এখানে এসেছেন।
'আশা করি যাত্রা সমাধান খুঁজে পাবে'
রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক বলেন, আমরা অনেক রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানকে এই অঞ্চলে সফর করতে দেখেছি। আশা করি যে এই সফর UNGA রেজুলেশন এবং আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী সংঘাত সমাধান করবে।
ইউএনজিএ তিনটি প্রস্তাবে রুশ আগ্রাসন বন্ধ করার আহ্বান জানায়। আরেকটি প্রস্তাবে ইউক্রেনের হামলা বন্ধ করারও দাবি জানানো হয়। ভারত এই প্রস্তাবে ভোটদান থেকে বিরত থাকে।
প্রধানমন্ত্রী মোদীর ইউক্রেন সফর
ইউক্রেন সফরে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শুক্রবার সকালে পোল্যান্ড থেকে সরাসরি ট্রেনে করে কিভে পৌঁছান তিনি। কিভে পৌঁছলে ভারতীয় সম্প্রদায়ের লোকজন তাঁকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান। এসময় তিনি প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির সঙ্গে দেখা করেন।
জেলেনস্কির সঙ্গে ইউক্রেনের জাতীয় জাদুঘরে পৌঁছেছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। এই বৈঠকের অনেক ছবি এবং ভিডিও সামনে এসেছে, যাতে দু'জনকেই আবেগাপ্লুত হতে দেখা যায়। এদিন উভয় নেতাই রাশিয়া ও ইউক্রেনের যুদ্ধে নিহত শিশুদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
মারিনস্কি প্যালেসে বৈঠক
ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতির সরকারি বাসভবন মারিনস্কি প্রাসাদে প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং রাষ্ট্রপতি জেলেনস্কি বৈঠক করবেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে স্বাগত জানাতে সম্পূর্ণরূপে সাজানো হয় মারিনস্কি প্যালেস। কিভে এই সফরে প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালও আসেন।
প্রথম ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী ইউক্রেনে পৌঁছন
এই বৈঠকের আগে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কিভের এভি ফোমিন বোটানিক্যাল গার্ডেনে মহাত্মা গান্ধীর ব্রোঞ্জ মূর্তির প্রতি পুষ্প অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এই মূর্তিটি ২০২০ সালে মহাত্মা গান্ধীর ১৫১ তম জন্মবার্ষিকীতে স্থাপন করা হয়েছিল।