বিস্ফোরক দাবি করলেন ব্রিটেনের যুবরাজ হ্যারি ও তার স্ত্রী মেগান মার্কেল। রবিবার এক টিভি চ্যানেলে সাক্ষাৎকার দেন তাঁরা। সেখানেই মেগান জানান, রাজপরিবারের সঙ্গে বেশ কিছু বিষয়ে অসন্তোষ ছিল তাঁর। তার সন্তানের গায়ের রং কালো হলে তাকে রাজপুত্র বানানো নাও হতে পারে, এমন আশঙ্কাতেও ছিলেন তিনি বলে জানিয়েছেন ওই সাক্ষাৎকারে।
মারাত্মক অভিযোগ
মেগান বলেন, রাজপরিবারের থাকার সময়ে তিনি আত্মহত্যার কথাও ভেবেছিলেন। খুব খারাপ পরিস্থিতির মধ্যে সেই সময়ে তিনি যাচ্ছিলেন। কারণ পারিপার্শ্বিক এমন কিছু ঘটনা হচ্ছিল, যা দেখে তিনি হতাশায় ভুগছিলেন। যুবরাজ হ্যারির সঙ্গে বিয়ের আগে কেট মিডেলটন মেগানকে কাঁদিয়ে দিয়েছিলেন। কেট মিডেলটন প্রিন্স উইলিয়ামসের স্ত্রী। মেগান বলেন, বিয়ের আগে থেকেই সব কিছু খারাপ হতে শুরু করে। ফলে তিনি প্রচণ্ড আতঙ্ক ও হতাশায় ভুগতে থাকেন সেই সময়ে।
কী বললেন হ্যারি
ওই সাক্ষাৎকারে কার্যত স্ত্রীয়ের দাবিকেই সমর্থন করেন যুবরাজ হ্যারি। তিনি বলেন, আমি নিজের স্ত্রীয়ের জন্য খুব গর্বিত। কারণ গর্ভবর্তী থাকার সময়ে অনেক খারাপ পরিস্থিতির মধ্যে যেতে হয়েছিল মেগানকে।
আরও পড়ুন, মানসিকভাবে হেরে বসে আছে ইংল্যান্ড : বোরিয়া মজুমদার
মেগান জানান, তাঁর সবথেকে বড় ভুলটি হল তিনি রাজ পরিবারকে বিশ্বাস করেছিলেন। তিনি ভেবেছিলেন সেখানে তাকে সুরক্ষিত রাখা হবে। সেই সঙ্গে হ্যারি বলেন, যদি প্রিন্সেস ডায়না থাকতেন, এসব দেখে তাঁরও মন খারাপ হয়ে যেত। প্রসঙ্গত, গত বছরই সমস্ত রাজকীয় দায়িত্ব থেকে সরে যান মেগান ও হ্যারি। সাধারণের মতো জীবন যাপন করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন তারা। এমন ঘটনা সামনে আসার পরেই স্বাভাবিক ভাবেই বাড়ছে বিতর্ক। রাজপরিবারের ভিতরেই বর্ণবিদ্বেষ-সহ একাধিক অভিযোগ তোলেন মেগান। যদিও এর পাল্টা এখনও পর্যন্ত রাজপরিবারের তরফ থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়নি।
বিস্ফোরক অভিযোগ
মেগান আরও বলেন, সন্তানের গায়ের রং নিয়ে উদ্বেগের কথা রাজ পরিবারের বিশেষ কোনও সদস্য তাকে জানিয়েছিলেন। কিন্তু ওই সাক্ষাৎকারে তার নাম খোলসা করেননি তিনি। তবে মেগান বলেন, ওই দিনগুলো আমার কাছে ভয়াবহ ছিল। আতঙ্ক ও হতাশা দিন দিন আমার মধ্যে গ্রাস করছিল। বারবার মনে হচ্ছিল নিজের ও আমার সন্তানদের না কোনও ক্ষতি হয়ে যায়।