আবারও প্রেসিডেন্টের লড়াইয়ে মুখোমুখি হবেন ট্রাম্প-বাইডেন। মঙ্গলবার দুই দলই তাদের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসাবে জো বাইডেন এবং ডোনাল্ড ট্রাম্পের নাম স্থির করে। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, এই দুইজনই মার্কিন জনসাধারণের মধ্যে আর আগের মতো জনপ্রিয় মুখ নন।
একদিকে ডেমোক্র্যাট জো বাইডেন। মার্কিন সংবাদমাধ্যমের সোশ্যাল মিডিয়া ঘাঁটলেই তাঁকে নিয়ে জনসাধারণের ভাবনার কিছুটা আঁচ পাওয়া যায়। জো বাইডেনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রবাসীর আস্থা থাকলেও, অনেকেই মনে করছেন, তাঁর বয়স হয়ে গিয়েছে। ৮১ বছরের জো বাইডেন কাজ করার জন্য যথেষ্ট ফিট নন বলে মনে করছেন অনেকে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে প্রবীণতম প্রেসিডেন্ট তিনি। অন্যদিকে রিপাবলিকান ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ৪টি ফৌজদারি মামলায় কারাদন্ডের সম্ভাবনা আছে। তুমুল বিতর্কিত চরিত্র তাঁর। আর সেই কারণেই তিনি যে খুব জনপ্রিয়, তা বলা যায় না।
আরও উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, দুই দলের, দুই প্রেসিডেন্টেরই মতাদর্শ সম্পূর্ণ বিপরীতমুখী বলা যেতে পারে।
১৯১২ সালের পর থেকে এই প্রথম, এক প্রাক্তন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বর্তমান প্রেসিডেন্টের 'রিম্যাচ' হতে চলেছে।
মঙ্গলবার ডেমোক্র্যাটদের সমর্থন পাওয়ার পর জো বাইডেন একটি বিবৃতি প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, 'ডোনাল্ড ট্রাম্প গণতন্ত্রের জন্য রীতিমতো ঝুঁকিস্বরূপ। তিনি প্রতিশোধস্পৃহা, বদলা নেওয়ার মানসিকতা থেকে ভোট-প্রচার চালাচ্ছেন। এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভাবমূর্তির বিরোধী।'
অন্যদিকে বয়স ইস্যুতে জো বাইডেনকে খোঁচা দিতে ছাড়েননি ডোনাল্ড ট্রাম্প। বাইডেনের মনোনয়নের আগেই তিনি বলেন, 'আমি ধরেই নিচ্ছি তিনিই প্রার্থী হবেন। ওঁর আয়ু বাদ দিলে আমিই ওঁর একমাত্র প্রতিদ্বন্দী।'
ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ৪ টি ফৌজদারি মামলায় ৯১টি অপরাধমূলক কাজের অভিযোগ রয়েছে। তার মধ্যে ২০২০ সালের নির্বাচনের ফলাফল বদলে দেওয়ার প্রচেষ্টার মতো গুরুতর অভিযোগও রয়েছে।
তাছাড়া তাঁর বিভিন্ন পলিসি, পরিকল্পনা এবং বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন স্বৈরাচারী নেতাদের সঙ্গে বন্ধুত্ব নিয়েও বারবার প্রশ্ন উঠেছে।
গত ৮ মার্চ ডোনাল্ড ট্রাম্প হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর ওরব্যান-এর সঙ্গে তিনি দেখা করেন। হাঙ্গেরিতে পূর্ণ গণতন্ত্র লোপের পিছনে এই ভিক্টর ওরব্যানকেই দায়ী করা হয়।
জো বাইডেন তাঁর পরবর্তী মেয়াদের শেষে ৮৬ বছর বয়সে পৌঁছে যাবেন। ফলে শারীরিক এবং মানসিকভাবে তিনি কতটা সক্ষম থাকবেন, সেই প্রশ্নই এখন ভাবাচ্ছে মার্কিন মুলুকের ভোটারদের।