scorecardresearch
 

Pakistan Economic Crisis: চাল ২০০ টাকা কেজি-টমেটো ১৬০ টাকা, পাকিস্তানের অবস্থা শোচনীয়

পাকিস্তানের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আড়াই বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে। অর্থনৈতিক সংকট কাটিয়ে উঠতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) দিকে তাকিয়ে আছে পাকিস্তান সরকার।

Advertisement
অর্থনৈতিক সংকটের মুখোমুখি পাকিস্তান অর্থনৈতিক সংকটের মুখোমুখি পাকিস্তান
হাইলাইটস
  • এক কেজি চায়ের দাম বেড়েছে ৫০০ টাকা
  • পাকিস্তানে বর্তমানে ময়দা বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১২০ টাকা দরে

অর্থনৈতিক সংকটের মুখোমুখি পাকিস্তানের (Pakistan Economic Crisis) জনগণকে প্রতিদিন একটি নতুন ধাক্কা দিচ্ছে শেহবাজ শরিফ সরকার (Shahbaz Sharif Government)। সম্প্রতি, আবারও বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির ফলে মূল্যস্ফীতির সঙ্গে লড়াই করা পাকিস্তানের জনগণ বিপাকে পড়েছেন। পাকিস্তানের জনগণ এখন আরও খারাপ সময়ের জন্য দিন গুনছেন। তাঁরা মনে করছেন এভাবে চলতে থাকলে পাকিস্তানের পুরো ব্যবস্থাটাই ভেঙে পড়বে। পাকিস্তানের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আড়াই বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে। অর্থনৈতিক সংকট কাটিয়ে উঠতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) দিকে তাকিয়ে আছে পাকিস্তান সরকার। কিন্তু বর্তমানে এক বিলিয়ন ডলার ঋণ দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়নি আইএমএফ।

শেহবাজ সরকার একটি অধ্যাদেশ এনে আইএমএফের শর্ত মেনে নেওয়ার পথে যেতে চলেছে। যা আবার জনগণের মধ্যে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। আটা থেকে শুরু করে দুধ ও চালের দাম আকাশ ছোঁয়া। পাকিস্তানে বর্তমানে ময়দা বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১২০ টাকা দরে। চাল বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা কেজি, দুধ ১৫০ টাকা লিটার, আলু ৭০ টাকা কেজি, টমেটো ১৩০ টাকা কেজি এবং পেট্রোল ২৫০ টাকা লিটার।

আরও পড়ুন: Teen Girl: বন্ধ আলমারি থেকে বেরোলো ১৮ মাস আগে হারিয়ে যাওয়া কিশোরী, কীভাবে গর্ভবতী? তদন্তে পুলিশ 

চা পাতার দামও ব্যাপক বেড়েছে। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে এক কেজি চায়ের দাম বেড়েছে ৫০০ টাকা। পাকিস্তানে সাধারণ চা পাতার দাম কেজি প্রতি ১৬০০ টাকা বেড়েছে। কারণ সরবরাহ নেই বললেই চলে। অন্য দেশ থেকে আমদানি করা চা পাতার চালান বন্দরে আটকে রয়েছে, কারণ পাকিস্তান সরকার দাম দিতে পারেনি।

মুদ্রাস্ফীতি আরও বাড়বে

প্রকৃতপক্ষে, পাকিস্তানের আইএমএফ থেকে ঋণ নেওয়ার কোনও তথ্য নেই। অধ্যাদেশ এনে বিদ্যুৎ, পেট্রোল ও গ্যাসের দাম বাড়াতে যাচ্ছে সরকার। বাস্তবতা হল পাকিস্তানিরা যখন রুটি ছাড়া কষ্ট পেতে শুরু করে, শাহবাজ সরকার তখন গমের ব্যবস্থা করতে দৌড়ায়, আবার যখন রুটি পাওয়া যায়, তখন পেট্রোল ফুরিয়ে যায়। পেট্রোলের সমস্যা হলে এলপিজি ফুরিয়ে যায়, এলপিজির ব্যবস্থা হলে বিদ্যুৎ বিপর্যয় দেখা দেয় এবং বিদ্যুৎ ফিরে এলে অর্থের আকাল দেখা দেয়।

Advertisement

সেনাবাহিনীর দিকে প্রশ্ন তুলেছেন ইমরান

অন্যদিকে শেহবাজ শরিফ ও ভুট্টোর পরিবারকে ডাকাতের পরিবার হিসেবে আখ্যায়িত করা ইমরান খান এখন পাকিস্তানের দুর্দশার জন্য সেনাবাহিনীকে দায়ী করতে শুরু করেছেন প্রাক্তন সেনা প্রধান বাজওয়াকে পাকিস্তানের দুর্দশার জন্য দায়ী করেছেন তিনি।

সর্বত্রই সংকটের সংকট

পাকিস্তানি মুদ্রা (পাকিস্তান রুপি) ডলারের বিপরীতে ২৭৫-এ নেমে এসেছে। এটি সর্বকালের নিম্ন স্তর। খাবার-দাবারসহ সবকিছুর দাম আকাশচুম্বী। মূল্যস্ফীতি বেড়েছে ২৭ শতাংশের বেশি। পাকিস্তানে মূল্যস্ফীতি ৫০ বছরের সর্বোচ্চে পৌঁছেছে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ১৯৯৮ সালের পর সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে এসেছে। বাকি আছে মাত্র ৩ বিলিয়ন ডলার। এর ফলে এক মাসের আমদানিও করতে পারবে না পাকিস্তান। একদিকে পাকিস্তানের আর্থিক অবস্থা ভেঙে পড়ছে, যে কোনও সময় পাকিস্তানের অর্থনীতি দেউলিয়া হয়ে যেতে পারে। অন্যদিকে পাকিস্তানের অভ্যন্তরে গৃহযুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে। এখন পর্যন্ত পাকিস্তানি সেনাদের ভয়ে পাকিস্তানের নেতারা কিছুই বলতেন না। কিন্তু এখন প্রশ্ন উঠছে পাকিস্তানের সেনাবাহিনীকে নিয়েও। ইমরান খান ও প্রাক্তন সেনাপ্রধান জেনারেল বাজওয়ার মধ্যে শুরু হওয়া বাক্যবাণ থেকেই নতুন বিতর্ক তৈরি হয়েছে।

Advertisement