আফগানিস্তানকে ভারতে দেওয়া Mi-24 attack helicopter এখন তালিবানদের দখলে। সম্প্রতি তালিবানদের একটি ভিডিও সামনে এসেছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে রীতিমতো এই অত্যাধুনিক চপারের পাশে ঘুরে ভিডিও করছেন তারা। কিন্তু কী করে তাদের হাতে এটা এল, সেটা এখনও স্পষ্ট নয়। মনে করা হচ্ছে ভিডিওটি কুন্দুজ থেকে তোলা হয়েছে। ২০১৯ সালে আফগানিস্তানকে বেশ কয়েকটি এমআই অ্যাটাক হেলিকপ্টার এবং ৩টি চিতা লাইট হেলিকপ্টার ভারত দেয়।
Video reportingly shows #Taliban captured Kunduz airport with #Afghanistan Air Force Mi-35 Hind attack helicopter pic.twitter.com/u7jZJdR800
— Joseph Dempsey (@JosephHDempsey) August 11, 2021
এর আগে ২০১৫ সালে বেশ কয়েকটি চপার আফগানিস্তানকে দিয়েছিল ভারত। সেগুলি বদল করে ২০১৯ সালে অত্যাধুনিক এই চপার দেওয়া হয়। ভাবা হয়েছিল এই চপার তালিবানের বিরুদ্ধে এখন ব্যবহার করবে আফগান সেনা। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে উল্টে এই চপার চলে এসেছে তালিবানদের হাতে। আবার যে ভিডিওটি সামনে এসেছে সেখানে দেখা যাচ্ছে চপারের উপরের ব্লেড গায়েব। এই প্রসঙ্গে জানতে পারা যাচ্ছে যে, আফগান সেনা এই ঘাঁটি ছেড়ে চলে যাওয়ার আগে চপারের ব্লেড খুলে নিয়ে গেছে, যাতে তালিবানরা ব্যবহার না করতে পারে। তবে এভাবে চপারটিকেই কেন ফেলে রেখে গেল তাঁরা, তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন।
মার্কিন সেনা আফগানিস্তান ছাড়ার পরেই একের পর এলাকা দখল নিচ্ছে তালিবানরা। এখন প্রায় ৭০ শতাংশ এলাকা তালিবানদের হাতে রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। দিন দিন ক্রমশ অবনতি হচ্ছে আফগানিস্তানের পরিস্থিতি। এবার কান্দাহার জেলেও হামলা চালিয়ে রাজনৈতিক বন্দিদের ছেড়ে দিয়েছে তালিবানরা। কয়েকদিন আগেই কান্দাহার জেলে হামলা চালায় তালিবানরা। কিন্তু সেই সময় তারা সফল হয়নি। এবার ফের হামলা চালায় কুখ্যাত এই জেলে। এবার জেলের দখল নিতে সফল হয় তালিবানরা। জানা গিয়েছে, প্রচুর রাজনৈতিক বন্দিদের ছেড়ে দিয়েছে তালিবানরা। কিছু ভিডিও সামনে এসেছে।
কান্দাহার জেলের বন্দিদের ছেড়ে দিল তালিবান
সেখানে দেখা যাচ্ছে জেল থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে একের পর এক বন্দিরা। বিষয়টি নিয়ে যে আফগান সরকারের দুশ্চিন্তা আরও বাড়বে তাতে কোনও সন্দেহ নেই। কারণ, মুক্ত হওয়া বন্দিদের মধ্যে কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ বন্দি ছিল। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, আফগান সরকারকে কার্যত চ্যালেঞ্জ দিচ্ছে তালিবানরা। কয়েক সপ্তাহ আগে কান্দাহারেই দূতাবাস থেকে প্রায় পঞ্চাশজন ভারতীয় কূটনীতিককে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়। নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে এই কাজ করা হয়। পরিস্থিতি এতটাই খারাপ হয়ে গেছে যে এখন আফগান সরকার সেনাপ্রধানকে পরিবর্তন করেছে। স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, তালেবানের ক্রমবর্ধমান ক্ষমতার পরিপ্রেক্ষিতে প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি তাঁর সেনাপ্রধানকে পরিবর্তন করেছেন।