scorecardresearch
 

স্ত্রীয়ের সঙ্গে ঝগড়া-চাকরি থেকে বরখাস্ত, থাইল্যান্ডের বন্দুকবাজের নেশা ছিল মাদকেরও

থাইল্যান্ডে বন্দুকবাজের হামলায় মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে ৩৪ জনের। এই হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে জড়িয়েছে এক প্রাক্তন পুলিশ অফিসারের নাম। শুধু তাই নয়, নিজের স্ত্রী ও সন্তানকে হত্যা করেও আত্মঘাতী হয়েছেন তিনি। কিন্তু কেন ওই ব্যক্তি এতোজনকে হত্যা করল, তা নিয়ে তদন্ত করতে গিয়েই হতবাক হয়ে গিয়েছে স্থানীয় পুলিশ।

Advertisement
থাইল্যান্ড আততায়ীর সম্পর্কে ভয়াবহ তথ্য। থাইল্যান্ড আততায়ীর সম্পর্কে ভয়াবহ তথ্য।
হাইলাইটস
  • স্ত্রীয়ের সঙ্গে ঝগড়া-চাকরি থেকে বরখাস্ত
  • থাইল্যান্ডের বন্দুকবাজের নেশা ছিল মাদকেরও
  • জানুন বিস্তারিত তথ্য

থাইল্যান্ডে বন্দুকবাজের হামলায় মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে ৩৪ জনের। এই হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে জড়িয়েছে এক প্রাক্তন পুলিশ অফিসারের নাম। শুধু তাই নয়, নিজের স্ত্রী ও সন্তানকে হত্যা করেও আত্মঘাতী হয়েছেন তিনি। কিন্তু কেন ওই ব্যক্তি এতোজনকে হত্যা করল, তা নিয়ে তদন্ত করতে গিয়েই হতবাক হয়ে গিয়েছে স্থানীয় পুলিশ।

সংবাদ সংস্থার খবর অনুযায়ী, প্রাক্তন ওই পুলিশ অফিসার তাঁর বিবাহিত জীবন নিয়ে খুব বিরক্ত ছিলেন। এছাড়াও জানুয়ারিতে, তাঁকে পুলিশের চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছিল। যার কারণে তাঁকেও আর্থিক সঙ্কটের মধ্যে পড়তে হয়েছিল। মাদক ব্যবহারের কারণে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছিল। পুলিশ তদন্তে এই হামলার সরাসরি কোনও কারণ খুঁজে পায়নি। যদিও তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন যে ওই ব্যক্তি অনেক মানসিক চাপে ছিল। তার জেরেই এই হামলা করে থাকতে পারে। 

স্থানীয় পুলিশ প্রধান জানিয়েছে, ডে কেয়ার সেন্টারে হামলার দিন সকালে স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া হয়েছিল ওই ব্যক্তির। রাগ করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। বৃহস্পতিবার ৩৪ বছর বয়সী প্রাক্তন পুলিশ অফিসাপ পানিয়া খামরাপ রাগের মাথায় ডে কেয়ার সেন্টারে প্রবেশ করে। তার হাতে ছিল একটি পিস্তল ও বড় ছুরি। তিনি সেখানে নির্বিচারে গুলি চালাতে শুরু করেন এবং এই ঘটনায় নিহতদের মধ্যে ২৪ জন শিশুও রয়েছে। পরে পনিয়া তার বাড়িতে গিয়ে স্ত্রী ও সন্তানকেও গুলি করে। শেষ পর্যন্ত নিজেকে গুলি করে আত্মহত্যা করেন। এই ঘটনায় মোট ৩৮ জন মারা যায়। ঘটনার সময় পনিয়া মাদক সেবন করেছিল কিনা তা এখনও স্পষ্ট নয়।

Advertisement