হামাস জঙ্গি গোষ্ঠীর আরও এক শীর্ষ কমান্ডারকে হত্যা করল ইজরায়েল। শনিবার রাতে ইজরায়েলের বিমান হামলায় দক্ষিণ খান ইউনিস ব্যাটালিয়নের নাহবা বাহিনীর শীর্ষ কমান্ডার বিলাল আল-কাদরাকে হত্যা করেছে ইজরায়েলের বায়ুসেনা। ইজরায়েলে বহু মানুষকে হত্যার জন্য দায়ী ছিল এই কারদা। দক্ষিণ ইজরায়েলের কিবুতজ নিরিম এবং নিরোজ এলাকায় বাড়িতে ঢুকে লোকজনকে তল্লাশি চালিয়ে হত্যা করে এই জঙ্গি নেতা। সন্ত্রাসবাদী সংগঠন হামাসে কাজ করার পাশাপাশি কাদরা প্যালেস্তাইনে ইসলামিক জিহাদ সংগঠনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করত।
ইজরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর একটি বিবৃতি অনুসারে, জেতুন, খান ইউনিস এবং পশ্চিম জাবালিয়া এলাকায় হামাসের শতাধিক অবস্থানে হামলা চালানো হয়েছে। শুধু তাই নয়, হামাসের সেই অপারেশনাল অবস্থানগুলিকেও লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছিল যেখান থেকে সন্ত্রাসবাদীরা ইজরায়েলের বিরুদ্ধে হামলা চালাত। ইজরায়েলি বাহিনী হামাসের ইসলামিক জিহাদ কাউন্সিলের সদর দফতর, কমান্ড সেন্টার, মিলিটারি কমপ্লেক্স, কয়েক ডজন লঞ্চার প্যাড, অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক পোস্ট এবং ওয়াচ টাওয়ার ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে। এ সময় ইসলামিক জিহাদ সংগঠনের সামরিক সদর দফতরও ধ্বংস করা হয়। এছাড়াও, আইডিএফ হামাসের অনেক অবকাঠামোও ধ্বংস করেছে। এই অবকাঠামোগুলির সঙ্গে যুক্ত অনেক লোক সক্রিয়ভাবে আইডিএফ-এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অংশ নিয়েছিল।'
গাজা উপত্যকার জনগণের জীবন বাঁচানোর যুদ্ধ
উত্তর গাজা খালি করার জন্য ফিলিস্তিনের জনগণকে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছিল ইজরায়েল। আইডিএফ শুক্রবার বলেছে যে গাজার জনগণকে তাদের নিরাপত্তার জন্য গাজা উপত্যকার দক্ষিণাঞ্চলে চলে যেতে হবে। ইজরায়েলের এই হুঁশিয়ারির মধ্যেই গাজা উপত্যকায় বসবাসকারী মানুষের জন্য জীবন-মৃত্যুর প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। আসলে গাজা উপত্যকায় বিদ্যুৎ ও জল সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে ইজরায়েল। চারিদিকে হাহাকার। এছাড়াও, ইজরায়েলের দাবি, পালিয়ে যেতে লোকজনকে বাধা দিচ্ছে হামাস। ইজরায়েল বলেছে যে তারা শিগগিরই স্থল অভিযান শুরু করবে গাজায়। আর সেই কারণেই হামস লোকজনকে চলে যেতে বাধা দিচ্ছে। বিভিন্ন রাস্তা অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। সাধারণ নাগরিকদের তারা ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে।
এদিকে, গাজায় মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ২ হাজার। এর মধ্যে ৭২৪ জন শিশু রয়েছে। উত্তর গাজার ১১ লক্ষ মানুষকে এলাকা ছেড়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ইজরায়েল। প্যালেস্তাইনের নাগরিকরা উত্তর গাজা ছাড়লেই ইজরায়েল স্থল হামলার প্রস্তুতি নিয়েছে।যার কারণে সেখানে বিশৃঙ্খলার পরিবেশ বিরাজ করছে। এ প্রসঙ্গে রাষ্ট্রসংঘ জানিয়েছে যে দক্ষিণ গাজায় এত বড় সংখ্যায় মানুষ চলে আসলে গুরুতর পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে।