US Presidential Election 2024: মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য নিউইয়র্ক নির্বাচনে একটি আকর্ষণীয় পরিবর্তন ঘটেছে। এবার নিউইয়র্ক সিটির নির্বাচনী ব্যালটে ভারতীয় ভাষার একটি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। জানলে অবাক হবেন এই ভাষা হিন্দি নয়, বাংলা। তথ্য অনুযায়ী, নিউইয়র্কে দুই শতাধিক ভাষা ব্যবহৃত হয় এবং এখন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ব্যালটে বাংলা ভাষা একটি বিশেষ স্থান পেয়েছে।
নিউইয়র্কে বৃহৎ বাংলাভাষী সম্প্রদায় রয়েছে, যার মধ্যে ভারত ও বাংলাদেশ উভয় দেশের লোক রয়েছে। শহরের বিভিন্ন স্থানে বিশেষ করে কুইন্স এলাকায় বাংলাভাষী মানুষ বিপুল সংখ্যায় বসবাস করে। নিউইয়র্কের নির্বাচনী কর্মকর্তারা এই ভাষাটিকে ব্যালটে অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এর আগে ২০১৩ সালে, কুইন্সে প্রথমবারের মতো নির্বাচনী ব্যালটে বাঙলা ভাষা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল।
নিউইয়র্কে প্রচুর বাঙালির বাস
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস ও প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের মধ্যে তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতা চলছে নিউইয়র্কে । এদিকে নির্বাচনী ব্যালটে বাংলা ভাষা অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত শুধু সাংস্কৃতিক গুরুত্ব নয়, আইনি কারণেও নেওয়া হয়েছে। নিউইয়র্ক সিটির নির্বাচনী ব্যবস্থা, যেখানে একটি বৃহৎ দক্ষিণ এশীয় সম্প্রদায় রয়েছে, বাধ্যতামূলক করে যে ভোটারদের তাদের মাতৃভাষায় ভোটদানের উপকরণ সরবরাহ করা হবে। বাংলাভাষী নাগরিকরা যাতে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় সম্পূর্ণভাবে অংশগ্রহণের সুযোগ পায় তা নিশ্চিত করার জন্য এই পদক্ষেপ একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ।
বাঙালি সম্প্রদায়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ
নিউইয়র্কে বসবাসরত ভারতীয় এবং বাঙালি সম্প্রদায়ের জন্য এই পরিবর্তনটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। টাইমস স্কয়ারের সেলস এজেন্ট শুভেশ বলেন, "এই পরিবর্তনটি আমার মতো মানুষের জন্য খুবই সহায়ক। আমার বাবা, যিনি কুইন্সে থাকেন, নির্বাচনে বাংলা ব্যালট দেখতে পছন্দ করবেন। আমাদের মতো লোকেরা ইংরেজি জানে, বেশিরভাগই আমাদের জনসংখ্যা ইংরেজিতে কথা বলে, কিন্তু মাতৃভাষায় আরামদায়কভাবে কাজ করা যায়।" এ ধরনের পরিবর্তনের মাধ্যমে ভোটদান প্রক্রিয়া সহজ করা হচ্ছে।
নিউইয়র্কের নির্বাচনী কর্মকর্তা মাইকেল জে. রায়ান বলেছিলেন যে এই পদক্ষেপটি কেবল একটি প্রতীকী সিদ্ধান্ত নয়, এর উদ্দেশ্য হল বিভিন্ন সম্প্রদায়কে সম্পূর্ণরূপে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় অংশ নেওয়ার সুযোগ দেওয়া। তিনি বলেন, "যেখানেই একটি বৃহৎ দক্ষিণ এশীয় জনগোষ্ঠী আছে, সেখানে এই সম্প্রদায়গুলির জন্য বিশেষভাবে ভাষা সহায়তা সামগ্রী সরবরাহ করার আইনগত বাধ্যবাধকতা রয়েছে।"