করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে মার্কিন ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থা ফাইজার এবং জার্মান সংস্থা বায়োএনটেক সম্প্রতি জানিয়ে দেয় তাঁদের তৈরি করোনা প্রতিরোধী টিকা ৯৫ শতাংশ কার্যকর। তাই এই ভ্যাকসিনের ডোজ ডিসেম্বরের মধ্যে আমেরিকাবাসীদের জন্য উপলব্ধ করতে মার্কিন সরকারের কাছে জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন জানায় সংস্থাটি।
সংস্থার তরফে বলা হয় অনুমোদন পাওয়ার পর সীমিতভাবে এই ভ্যাকসিন বাজারে আনবেন তাঁরা। পরবর্তীতে আগামী বছর ধীরে ধীরে ডোজের সংখ্যা বাড়াবে তাঁরা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ) যদিও বাকি সিদ্ধান্ত নেবে। যদিও প্রাথমিকধাপে এই ভ্যাকসিন দুর্লভই থাকবে সকলের জন্য। প্রত্যেকের জন্য এই ভ্যাকসিন উপলব্ধ হতে হতে আগামী বছরের শেষ হয়ে যাবে।
শুক্রবার এফডিএ অনুমোদনের জন্য আবেদন জানিয়েছে ফাইজার। ইতিমধ্যেই ইউরোপে এবং ব্রিটেনে এমনই আবেদন জানিয়েছে সংস্থা।
ভারতে ফাইজার ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে?
এই কোভিড-১৯ প্রতিরোধক ভ্যাকসিন -৭৫ ডিগ্রিতে স্টোর করতে হবে। খনও এত বিপুল পরিমাণ ক্যাপাসিটি কোনও দেশেরই নেই। ভ্যাকসিন সায়েন্টিস্ট ডা: গগনদীপ কাং বলেন, “এই ভ্যাকসিনের দাম অনেক হবে। কারণ এই ভ্যাকসিন মজুত করা এবং সরবরাহ করা সহজ বিষয় নয়।” বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে দিয়েছেন যদিও। বিশেষত ভারতের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলিতে। তবে কেন্দ্র বলেছে যে ভারত এই ভ্যাকসিন মজুত করার আগে সম্ভাবনা যাচাই করবে।