টাইটানিক। বললেই মনে পড়ে ভালো লাগার সেই সিনেমাটা। যেটা দেখে আমরা অনেকেই রোমান্স শিখেছি। তবে একটা বিষয় খেয়াল করেছেন গত কটা দিনে এই টাইটানিক নিয়ে অনেক আলোচনা হচ্ছে। মানে ধরুন টাইটানিক ডুবে যাওয়ার আগে কী খাওয়া দাওয়া হয়েছিল, যাত্রীরা কেমন ছিল ইত্যাদি। এবার আপনাদের বলি টাইটানিক কোথায় ডুবে আছে। কানাডার নিউফাউন্ডল্যান্ডের কাছে কোস্টাল লাইন থেকে প্রায় চারশো মাইল গভীর সমুদ্রে। অর্থাৎ আটলান্টিক মহাসাগরের প্রায় সাড়ে তিন কিলোমিটার গভীরে। এবার আপনাদের বলি, কীভাবে যাওয়া যায় টাইটানিকে। ওশনগেট নামে একটা ট্র্যাভেল কোম্পানি আছে। যারা এই টাইটানিক ট্রিপ করায়। ওই যেরকম আপনি কাশ্মীর মা দিল্লি ঘুরতে যাওয়ার জন্য প্যাকেজ বুক করেন, বিষয়টা ঠিক তেমনই। এই ওশনগেট আপনাকে 8 দিনের একটা ট্যুর প্যাকেজ দেবে। আপনাকে প্রথমে কানাডা থেকে জাহাজে করে আটলান্টিকের ঠিক যেখানে জাহাজটা ডুবে গেছিল, সেখানে নিয়ে যাওয়া হবে। এবার পালা সেই ছোট্ট সাবমেরিনে ওঠার। সার্ফেস থেকে সাড়ে তিন কিলোমিটারে গভীরে, ডুবে থাকা টাইটানিকের মুখোমুখি নিয়ে যাওয়া হবে। বিষয়টা ভাবতে পারছেন। কী থ্রিলিং, তাই না। যে টাইটানিক আপনি সিনেমায় দেখেছেন, Every night in my dreams গানটা গুনগুন করে গেয়েছেন, সেই টাইটানিকের আপনি একেবারে মুখোমুখি। তবে এই প্যাকেজে ঘুরতে যেতে হলে আপনাকে টাকা পয়সার ব্যাপারটা আগে থেকে গুছিয়ে নিতে হবে। কারণ এই প্যাকেজটা বেশ দামী। জানেন ওই মিনি সাবমেরিনটার নাম হচ্ছে টাইটান। মাইক্রো সাইজের এটি। এখানে মোটামুটি 5 জনের বেশি বসতে পারবেন না। এবার বলি সমস্যাটা রবিবার ঠিক কী হয়েছিল। সকাল সকাল একদল টুরিস্ট টাইটানিক দেখতে নেমেছিলেন। নামার কিছুক্ষণের মধ্যে তার আর কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। না কোনও সিগন্যাল, না কিছু। সবটাই যেন ভ্যানিশ। খুব বেশি হলে সেখানে 96 ঘণ্টার মতো অক্সিজেনের ব্যাকআপ ছিল। খাবার জলও কম। তাহলে কী টাইটানিক বিষয়টাই মৃত্যু ডেকে আনে। মানে ভৌতিক কিছু? তর্কের খাতিরে ভূতের তত্ত্বটাকে কী আপনি মেনে নেবেন?
Yes, Titanic tourism is a thing, and it's dangerous.