আজ বুধবার (২১ জুলাই) ঈদুল আজহার ছুটি বাংলাদেশ জুড়ে। এদিন বাংলাদেশ জুড়ে ঈদুল আজহা উদযাপিত হচ্ছে। আর এই ছুটি মিটলেই ফের একবার কঠোর লকডাউনের পথেই হাঁটবে বাংলাদেশ সরকার।
করোনার চলমান পরিস্থিতিতে ভয়েস রেকর্ডের মাধ্যমে মোবাইল ফোনে জনে জনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশবাসীকে পবিত্র ঈদ-উল-আজহার শুভেচ্ছা জানিযেছে। শুভেচ্ছা জানিযেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদও।
ঈদের তিন দিন (২০, ২১ ও ২২ জুলাই) ছুটি। এরপর ২৩ ও ২৪ জুলাই সাপ্তাহিক (শুক্র ও শনিবার) ছুটি। ফলে ঈদের ছুটি মিলে টানা পাঁচ দিনের ছুটি পাচ্ছেন সবাই।
অন্যদিকে, করোনা সংক্রমণ রোধে ২৩ জুলাই সকাল ৬টা থেকেই শুরু হচ্ছে কঠোর বিধিনিষেধ। এই বিধিনিষেধ চলবে ৫ আগস্ট রাত ১২টা পর্যন্ত। অর্থাৎ মোট ১৪ দিন থাকছে বিধিনিষেধ। এ সময় সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি অফিস বন্ধ রাখা হবে। বন্ধ থাকবে সব শিল্প কারখানা এবং গণপরিবহন।
তবে লকডাউনের আওতামুক্ত থাকবে না খাদ্য ও খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন/প্রক্রিয়াজাতকরণ ,মিল, কারখানা, কোরবানির পশুর চামড়া পরিবহন, সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াজাতকরণ এবং ওষুধ, অক্সিজেন ও কোভিড-১৯ প্রতিরোধে ব্যবহারের জন্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য উৎপাদনকারী শিল্প-কারখানা।
এদিকে, ঈদের পর বিধি-নিষেধ অনুযায়ী অফিস বন্ধ থাকলেও সরকারি কর্মচারীদের নিজ নিজ দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এই নির্দেশ দিয়ে সব সচিবকে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন জানিয়েছেন, কোরবানি ঘিরে দেশের বিশাল অর্থনীতি রয়েছে। তাই সব কিছু বিবেচনা করে সাত দিনের জন্য চলাফেরার ওপর বিধি-নিষেধ শিথিল করতে হয়েছিল।
বাংলাদেশের করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ এবং মৃত্যু যখন ব্যাপক আকারে বেড়েছে, তখনই সরকার কিছুদিনের জন্য লকডাউন প্রত্যাহার করে নিয়েছে। সরকারের তরফ থেকে যুক্তি দেয়া হয়েছে, ঈদ-উল-আজহায় পশু কেনা-বেচা বাংলাদেশের অর্থনীতির একটি খুঁটি।
প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের হিসেব মতে বাংলাদেশে এবার প্রায় এক কোটি ১৯ লাখ গবাদি পশু জবাইয়ের জন্য রয়েছে। গৃহস্থালিতে পশু পালন ছাড়াও প্রায় সাত হাজার খামার রয়েছে যেগুলো ঈদ-উল-আজহার জন্য পশু লালন-পালন করে। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (খামার) জিনাত হুদা জানিয়েছেন, " প্রতি বছর কোরবানির পশু থেকে গড়ে ৫০ থেকে ৫৫ হাজার কোটি টাকার মতো কেনা-বেচা হয়। যদি বিক্রি কম হয়, তাহলে দেশের অর্থনীতিকে বিরূপ প্রভাব পড়বে।"