Advertisement

বাংলাদেশ

Bangladesh Air Force crash: একের পর এক শিশুর দগ্ধ লাশ, ঢাকার স্কুলে এয়ারফোর্সের বিমান ভেঙে পড়ে কী অবস্থা? ভয়াবহ সব ছবি

Aajtak Bangla
Aajtak Bangla
  • ঢাকা,
  • 21 Jul 2025,
  • Updated 4:55 PM IST
  • 1/9

বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের চত্বরে সোমবার দুপুরে ভয়াবহ দুর্ঘটনা। বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সোজা গিয়ে আছড়ে পড়ে স্কুলের জুনিয়র সেকশনের ভবনে। বাংলাদেশে একদিনের জাতীয় শোক ঘোষণা করেছে ইউনূস সরকার।

  • 2/9

এই প্রতিবেদন যখন লেখা হচ্ছে, তখনও পর্যন্ত ১৬ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। যদিও বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, মৃতের সংখ্যা ২০। বহু মানুষ আগুনে পুড়ে গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি। ফলে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেই আশঙ্কা।

  • 3/9

প্রত্যক্ষদর্শীদের অনেকেই জানিয়েছেন, বিমানটি ভেঙে পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই একটি বিকট শব্দ হয় এবং পুরো ভবনে আগুন ধরে যায়। স্কুলের নীচতলায় তখন নার্সারি থেকে তৃতীয় শ্রেণির ক্লাস চলছিল।

  • 4/9

আগুন আর ধোঁয়ায় মুহূর্তে ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক। দৌড়াদৌড়ি শুরু হয়ে যায় স্কুল চত্বরে। শিশুরা চিৎকার করছে, শিক্ষকরা তাঁদের বাইরে বের করে আনার চেষ্টা করছেন।

  • 5/9

মাইলস্টোন কলেজের প্রিন্সিপাল রেজাউল ইসলাম জানান, 'ছুটির আগে আগে ঘটনা ঘটে। আমরা ভাবতেই পারিনি যুদ্ধবিমান আমাদের স্কুলে এসে পড়বে। বিমানটি সোজা ভবনের গেটে ধাক্কা মারে, সঙ্গে সঙ্গে আগুন লেগে যায়। বাচ্চাদের চিৎকারে সব কিছু কেঁপে উঠেছিল।'

  • 6/9

ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, স্কুলের বাগানের পাশের ভবনটির নিচতলায় বিমানের ইঞ্জিনে আগুন জ্বলছে। দমকল বাহিনী সেই আগুন নেভানোর চেষ্টা করছে। ভবনের ভিতরে আটকে পড়া শিশুদের কোলে করে বাইরে নিয়ে আসছেন সেনা ও দমকলকর্মীরা। ধোঁয়ার কারণে অনেক শিশুই শ্বাস নিতে পারছিল না।

  • 7/9

ঢাকা মেডিকেল কলেজ সংলগ্ন জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট সূত্রে জানা গেছে, সেখানে সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত অন্তত ২৫ জন দগ্ধ রোগীকে ভর্তি করা হয়েছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তাঁদের অনেকের শরীরের ৩০% থেকে ৫০% পর্যন্ত পুড়ে গেছে। অনেক শিশুর শ্বাসনালীও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জাতীয় বার্ন ইউনিটের এক চিকিৎসক জানান, দগ্ধদের মধ্যে অনেকেই শিশু। চিকিৎসা করা অত্যন্ত কঠিন, কারণ পুড়ে যাওয়া অংশ অনেক জায়গায় গভীর।

  • 8/9

ঘটনার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ফায়ার সার্ভিসের আটটি ইউনিট, সেনাবাহিনী এবং বিমানবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায়। বিমানটি দুপুর ১টা ৬ মিনিটে উড়েছিল এবং ১টা ১৮ মিনিটে দুর্ঘটনার খবর পাওয়া যায়। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে দমকলকর্মীরা প্রাণপণ চেষ্টা চালাচ্ছেন। এখনও ভবনের ভিতরে কেউ আটকে আছেন কিনা তা নিশ্চিত করতে তল্লাশি চলছে।

  • 9/9

ফায়ার সার্ভিসের একজন কর্মকর্তা জানান, বিমানের ধ্বংসাবশেষ এখনও গরম। আশেপাশের এলাকা ঘিরে রাখা হয়েছে। আমরা যত দ্রুত পারি সব শিশুকে উদ্ধার করার চেষ্টা করছি। অনেক অভিভাবক স্কুল গেটের সামনে দাঁড়িয়ে কাঁদছেন। কেউ সন্তানকে খুঁজে পেয়েছেন, কেউ এখনও সন্তানকে খুঁজছেন। লাকি আক্তার নামে এক মা বলেন, 'আমার ছোট ছেলে স্কুলে ছিল। বড় ছেলেকে বের করে এনেছি, কিন্তু ছোট ছেলেটা কোথায় বুঝতে পারছি না। ফোনও ধরছে না।' ফেরদৌসি বেগম নামের আরেক অভিভাবক বলেন, 'আমার মেয়ে ভেতরে ছিল। কিছুতেই যোগাযোগ করতে পারছি না।'

 

Advertisement

লেটেস্ট ফটো

Advertisement