স্বাধীনতার ৫০ বছর পূরণ করেছে বাংলাদেশ। একাত্তরের স্বাধীনতার যুদ্ধে বাংলাদেশকে অনেক সমস্যার মুখোমুখি হয়ে হয়েছিল। প্রাকৃতিক দুর্যোগ, অর্থনৈতিক অবস্থা ইত্যাদির কারণে শঙ্কিত ছিল সেই দেশের মানুষ।
আমেরিকার প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী হেনরি কিসিঞ্জর সেই সময় ভবিষ্যৎবাণী করেছিলেন, এমন একটা দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে চলেছে বাংলাদেশ। কিন্তু, তারা নিজেদের ভবিষ্যৎ নিজেরা নির্ধারণ করতে পারবে না।
তবে এখন বাংলাদেশ অনেকটাই স্বনির্ভর হতে পেরেছে। তাদের অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে। প্রতিবেশী দেশগুলির সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে উন্নতির পথে এগোচ্ছে তারা।
যদিও বাংলাদেশকে বারবার চিন্তায় ফেলেছে সেই দেশের সংখ্যালঘুদের অবস্থা। কারণ, সেদেশে বসবাসকারী হিন্দুরা বারবার আক্রান্ত হয়েছেন। আর তা আরও মারাত্মক হয়েছে সম্প্রতি। কয়েকদিন আগে দুর্গাপুজোয় মন্দির ভাঙচুর করা হয়েছে। ভেঙে দেওয়া হয়েছে মূর্তি।
এর ফলে বিপাকে পড়ছে হাসিনা সরকার। ঘরে বাইরে সমালোচিত হতে হয়েছে তাঁকে। বাংলাদেশ মিডিয়াও এই নিয়ে আলোচনা করছে। তাদের প্রশ্ন, দেশে কি সংখ্যালঘুদের কোনও জায়গা নেই? সংখ্যালঘুদের রক্ষা করা কি সংখ্যাগুরুদের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে না ?
বাংলাদেশের এক বহুল প্রচারিত পত্রিকায় সোহরাব হোসেন নামে একজন লিখেছেন, দেশজুড়ে হিন্দুদের উপর আক্রমণের প্রতিবাদ করতে হবে। প্রকাশ্যে মুখ খুলতে হবে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে। সাবইকে একজোট হতে হবে।
তিনি আরও লিখেছেন, এই প্রথম নয়। ২০১১ সালেও বাংলাদেশে হিন্দুদের টার্গেট করা হয়েছিল। তখন তাঁকে ঢাকার কাছে কালীগঞ্জ নামে এক জায়গায় এক বৃদ্ধা কাঁদতে কাঁদতে বলেছিলেন, 'আমার বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। আমি চাই আমার ভোটার কার্ডও নিয়ে নেওয়া হোক।'
বাংলাদেশে এই হিংসার ফলে সরকারের উপর সাধারণ মানুষ বিশেষ করে সংখ্যালঘুরা আতঙ্কিত। তারা সরকারকে আর বিশ্বাস করতে পারছে না বলে দাবি করেছেন সোহরাব হোসেন।
তাঁর অভিযোগ, রাজনীতিকরা আক্রান্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর বদলে ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতি করছে। এক দল আর এক দলকে আক্রমণ করছে। এটা কাঙ্খিত নয়।
আবার ঢাকা ট্রিবিউন 'সংখ্যালঘুদের দেশ নেই' নামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। সেখানে লেখা হয়েছে, সংখ্যালঘুরা এই দেশে বারবার আক্রান্ত হচ্ছে। হতে পারে বাংলাদেশ উন্নতি করছে। তবে এভাবে চলতে থাকলে দেশের প্রগতী আটকে যাবে।
ওই প্রতিবেদনে আরও লেখা হয়েছে, বাংলাদেশের সরকারের এই নিয়ে পরিকল্পনা করে এগোনো দরকার। তবেই তারা বিশ্বের সামনে মুখ বাঁচাতে পারবে।