বাংলাদেশের নদীগুলিতে ইলিশের ঘনত্ব বেড়েছে। ফলে বাজারে ইলিশের সরবরাহ বেড়েছে। সেইসঙ্গে আনুপাতিক হারে কমেছে দাম।
ফলে সাধারণ মানুষের অনেকটাই ক্রয়ক্ষমতার কাছাকাছি এসেছে রুপোলি ইলিশ।
ইলিশ রক্ষায় সরকারের নেওয়া উদ্যোগের কারণেই এটি সম্ভব হয়েছে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
বাংলাদেশের মৎস্য মন্ত্রক সূত্রে জানা গেছে- ইলিশ রক্ষায় সরকার তিনটি কার্যক্রম পরিচালনা করছে। প্রথমত, ডিম ছাড়ার জন্য প্রজনন মরশুমে(আশ্বিন মাসে পূর্ণিমার আগে ও পরে ২২ দিন) ইলিশ ধরা সম্পূর্ণ বন্ধ থাকে। আগে যদিও ১১ দিন ছিল, পরে তা বাড়িয়ে ১৫দিন, এবং পরবর্তীতে তা আরও বাড়িয়ে ২২ দিন করা হয়েছে। দ্বিতীয়ত, প্রতিবছর ১ নভেম্বর থেকে পরবর্তী বছরের ৩১ মে মাস পর্যন্ত জাটকা ধরা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তৃতীয়ত, দেশটির ৬টি এলাকাকে ইলিশ অভয়াশ্রম হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
সেই কারণেই গত কয়েকবছর ধরে বাংলাদেশে ইলিশের উৎপাদন বেড়েছে। বিশ্বে সবচেয়ে বেশি ইলিশ এই দেশেই উৎপাদন হয়। বিশ্বের প্রায় ৮৬ শতাংশ ইলিশ মেলে এখানে।
গত দু'বছর পুজোর আগে সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশ থেকে ইলিশ এসেছিল পশ্চিমবঙ্গে। এবারও সাগরে মিলতে শুরু করেছে রুপোলি শস্য। ফলে সীমান্তের ওপার থেকে ইলিশ আসবে কিনা তা নিয়ে উৎসাহ বাড়ছে এপারের ভোজন রসিকদের মধ্যে।
এদিকে বাংলাদেশের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলছেন, রফতানি হলে দেশের মানুষের সুস্বাদু ইলিশ খাওয়ার সুযোগ অনিশ্চিত হতে পারে। তাই ব্যক্তিগতভাবে ইলিশ রফতানির পক্ষে তিনি নন। গত ২৪ অগাস্ট সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
এর আগে গত জানুয়ারিতে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছিলেন, ‘আগামী পাঁচ বছরে ইলিশ রফতানি করা যৌক্তিক হবে না। এখনো গ্রামের অনেক মানুষ ইলিশের স্বাদ নিতে পারে না। তাদেরকে পর্যাপ্ত পরিমাণ ইলিশ খাওয়ার সুযোগ করে দিতে চাই। তারপর ইলিশ রফতানির কথা ভাবা যাবে।'