দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা শেষ হচ্ছে শনিবার মধ্যরাতে। ফলে মাছ ধরতে প্রস্তুত পদ্মা-মেঘনার মৎস্যজীবীরা। সব মাছ ধরতেই বাধা উঠে যাচ্ছে যদিও, তবে বাঙালির নজর তাদের শ্রেষ্ঠ মাছ ইলিশের দিকেই।
ট্রলার রেডি। প্রস্তুতি সারা। শনিবার মধ্যরাতে নিষেধাজ্ঞা উঠতেই যেন তাঁরা মাছ ধরা শুরু করতে পারেন, তার জন্য রাতের আগেই রওনা হয়ে যাবেন তাঁরা। বাংলাদেশের মৎস্য বিভাগের আশা এবার কাঙ্ক্ষিত টার্গেট ৬ লাখ টন ইলিশ মাছ ধরা সম্ভব হবে।
সেদেশের ভোলা সদরের ইলিশা, তুলাতলি, ভোলার খাল, নাছির মাঝিসহ বিভিন্ন ঘাট ঘুরে দেখা গেছে, ইলিশ ধরার জন্য জেলেরা প্রস্তুতি সেরে ফেলেছেন।
এতদিন আড়তগুলি ছিল সুনশান, নিস্তব্ধ। ফের সেগুলি মুখর হয়ে উঠেছে। মাছ ধরে বিগত দিনের ধার-দেনা শোধ করে ঘুরে দাঁড়াতে পারবেন বলে আশাবাদী জেলেরা।
ঝকঝকে রূপালি ইলিশে ভরে উঠবে নৌকা, এই আশায় ঘাটের পাড়ে জাল এবং নৌকা ঠিক করায় ব্যস্ত সময় পার করছেন জেলেরা। শনিবার থেকেই কর্মব্যস্ত দুূমাসের বেকার জেলেরা।
দু'মাসের অভিযানে বিক্ষিপ্ত মাছ ধরা হলেও বেশিরভাগ নদী ও উপকূলে ইলিশ ধরা বন্ধই ছিল বলে দাবি মৎস্য দফতরের। ফলে নদীতে ইলিশের উৎপাদন বাড়বে বলে মনে করছেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তারা। তাঁদের দাবি, আশা করা যাচ্ছে এবার ইলিশের উৎপাদন বাড়বে।
ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত ভোলার মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীতে মাছ ধরার বন্ধ ছিল। এ সময় ৯৩ হাজার নথিভুক্ত জেলেকে খাদ্য সামগ্রী বিলি করা হয়।
তবে নিষেধাজ্ঞা শেষে নদীতে এই সময়ে মাছের আকাল থাকায় এবং ঈদের কারণে অনেক জেলেই জাল নিয়ে নদীতে যেতে আগ্রহী নয় বলে জানিয়েছেন। ঈদশেষে আগামী সপ্তাহে মাছধরা তুঙ্গে উঠবে বলে মনে করা হচ্ছে।
এদিকে ওপারে ইলিশ ধরা শুরু হতেই সোজাপথে আমদানির আশায় বুক বাঁধছে এপারের ইলিশপ্রেমী তথা মৎস্যব্যবসায়ীরা। দ্রুত এ রাজ্য়েও ইলিশ ঢুকবে বলে ধরে নিয়ে প্রস্তুতি শুরু হয়েছে কলকাতা ও শিলিগুড়ির মাছের আড়তে।
সমস্ত ছবি সৌজন্যঃ গেটি ইমেজেস