Advertisement

রাজধানীতে রমরমিয়ে চাইল্ড পর্নোগ্রাফি, গ্রেফতার বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩ ছাত্র

এক মার্কিন কিশোরীর অভিযোগ কয়েকবছর আগে ইনস্টাগ্রামে তাঁর সঙ্গে পরিচয় হয় ঢাকার বাসিন্দা এক যুবকের। সেখান থেকে বন্ধুত্ব গাঢ় হয়। সেই সময় তরুণের আবদারে নিজের বেশ কিছু নগ্ন ছবি পাঠিয়েছিল ওই কিশোরী। পরে ফেসবুকের মাধ্যমে ওই কিশোরী জানতে পারে যে সে চাইল্ড পর্নোগ্রাফি চক্রের পাল্লায় পড়েছে।

ঢাকায় চাইল্ড পর্নোগ্রাফির চক্র ফাঁস
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 20 Oct 2020,
  • अपडेटेड 11:26 AM IST
  • ঢাকায় চাইল্ড পর্নোগ্রাফির পর্দা ফাঁস
  • ৯ থেকে ১৫ বছরের ছেলে-মেয়েরা ছিল ‘টার্গেট’
  • অভিভাবকদের থেকে আদায় করা হত মোটা টাকা

বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার বুকে সন্ধান মিলল চাইল্ড পর্নোগ্রাফি চক্রের। এক মার্কিন কিশোরীর অভিযোগের ভিত্তিতেই বাংলাদেশের সাইবার ক্রাইম বিভাগ বিষটি নিয়ে তদন্ত শুরু করে। দীর্ঘ প্রায় ৮ মাস তদন্ত চালানোর পর অবশেষে এই ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩ পড়ুয়াকে গ্রেফতার করেছে বাংলাদেশ পুলিশ। 

বছর ১৬ ওই মার্কিন কিশোরীর অভিযোগ কয়েকবছর আগে ইনস্টাগ্রামে তাঁর সঙ্গে পরিচয় হয় ঢাকার বাসিন্দা এক যুবকের। সেখান থেকে বন্ধুত্ব গাঢ় হয়। সেই সময় তরুণের আবদারে নিজের বেশ কিছু নগ্ন ছবি পাঠিয়েছিল ওই কিশোরী। পরে ফেসবুকের মাধ্যমে ওই কিশোরী জানতে পারে যে সে চাইল্ড পর্নোগ্রাফি চক্রের পাল্লায় পড়েছে। এরপরেই ঢাকার কাউন্টার টেরিরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের সাইবার ইনভেস্টিগেশন বিভাগের সাহায্য নেয় সে। ৮ মাস তদন্ত চালানোর পর ঢাকার তিন বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াকে এরপর গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতদের নাম বোরহান উদ্দিন (২৬), আব্দুল্লাহ আল-মাহমুদ (২৫) ও অভি হোসেনক (২৫)। ধৃতরা সকলেই তিনজনই শিশু পর্নোগ্রাফি তৈরির কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। ঢাকার বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩ শিক্ষার্থীর থেকে  মোবাইল ও কম্পিউটার ছাড়াও ৩০ জিবি ভলিউমের ৩ হাজার ৩১৬টি ফাইল বাজেয়াপ্ত  করা হয়েছে। এগুলোর মধ্যে ৪৫ জন ‘ভিকটিমের’ নগ্ন ছবি রয়েছে।

সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন বিভাগের ডিজিটাল ফরেন্সিক বিভাগের সহকারী পুলিশ কমিশনার ইশতিয়াক আহমেদ জানিয়েছেন, চাইল্ড পর্নোগ্রাফির এই চক্রটি কৌশলে দেশি-বিদেশি শিশু ও কিশোরীদের নগ্ন ছবি ও ভিডিও সংগ্রহ করে চাইল্ড পর্ন গ্রুপ ও ওয়েবসাইটগুলিতে সরবরাহ করতো। সারা দুনিয়া সাধারণ চার্ক ওয়েবের মাধ্যমে চাইল্ড পর্ন ট্রেড করা হয়ে থাকে। ধারণত ৯ থেকে ১৫ বছরের ছেলে-মেয়েদের ‘টার্গেট’ করা হত।  পুলিশ  কর্তা ইশতিয়াক আরও বলেন, “সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অ্যাকাউন্ট খুলে তারা দেশের বাইরের শিশু পর্নোগ্রাফি তৈরি গ্রুপের সাথে যোগাযোগ করে। ওই গ্রুপের  দেওয়া নির্দেশনা অনুযায়ী বাংলাদেশে কাজ চলত।"  শিশুদের অভিভাবকের কাছে সেই কনটেন্ট পাঠিয়ে ভয় দেখিয়েও অর্থ আদায় করা হত ।

Advertisement

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement