সরকারি চাকরিতে সংরক্ষণ বাতিলের দাবিতে বাংলাদেশে আন্দোলন ঘিরে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। পরিস্থিতি সামলাতে সে দেশে কার্ফু জারি করেছে শেখ হাসিনার সরকার। টহল দিচ্ছে সেনা। বন্ধ রয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা। দফায় দফায় সংঘর্ষে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১১৫। এই পরিস্থিতিতে সে দেশ থেকে ফেরানো হল ৯৭৮ জন ভারতীয় পড়ুয়াকে। শনিবার এ কথা জানাল ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রক।
অশান্তির আবহে সে দেশে ট্রেন পরিষেবা পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম প্রথম আলো সূত্রে খবর, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে ট্রেন চলাচল। সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সংঘর্ষের জেরে শুক্রবার ঢাকার রামপুরা-বাড্ডা এলাকায় আরও ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি। গত কয়েক দিনে সংঘর্ষের ঘটনায় জখমের সংখ্যা অনেক। বৃহস্পতিবারের মতো শুক্রবারও বাংলাদেশে আন্দোলনরত পড়ুয়াদের ডাকে কমপ্লিট শাটডাউন (সর্বাত্মক অবরোধ) কর্মসূচি চলেছে। অশান্তির ঘটনা রুখতে সারা দেশে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) ৩০০ প্লাটুন সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। ঢাকাতেই মোতায়েন করা হয়েছে ৭৫ প্লাটুন সদস্য। শুক্রবারও ঢাকা-সহ সে দেশের বিভিন্ন শহরে দফায় দফায় পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষ চলছে। হেলিকপ্টারে টহলদারি চালানো হচ্ছে বিভিন্ন এলাকায়।
প্রসঙ্গত, সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে সংরক্ষণ ব্যবস্থা বাতিলের দাবিতে ছাত্র-যুবদের আন্দোলন ঘিরে উত্তাল বাংলাদেশ। ওপার বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষ ঘটছে। বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম প্রথম আলো সূত্রে খবর, রামপুরায় বাংলাদেশ টেলিভিশন ভবনে হামলা চালানো হয়েছে। যার জেরে সম্প্রচার বন্ধ হয়ে গিয়েছে। সংঘর্ষের ঘটনার জেরে ঢাকা মেট্রো পরিষেবা বিঘ্নিত হয়েছে। বিঘ্নিত মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবাও।
অশান্তির আবহে গত রাতে নরসিংদি জেলার একটি জেলে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ উঠেছে আন্দোলনকারী পড়ুয়াদের বিরুদ্ধে। কয়েকশো বন্দি পালিয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। এক পুলিশ আধিকারিককে উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, জেলে আগুন লাগান আন্দোলনকারীরা। তারপরেই বন্দিরা পালিয়ে যায়। ঠিক কত সংখ্যক বন্দি পালিয়েছে, তা অবশ্য নির্দিষ্ট করে জানা যায়নি। তবে ওই পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, সংখ্যাটা শতাধিক।