বাংলাদেশ ইসকনের গুরুত্বপূর্ণ মুখ চিন্ময় দাসের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা দায়ের করা হয়েছে। গতকাল সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম জেলায় চিন্ময় দাস ব্রহ্মচারী-সহ আরও ১৯ হিন্দু সংগঠনের নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা দায়ের করা হয়। ২৫ অক্টোবর চট্টগ্রামে হিন্দু সংগঠনের সমাবেশে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার অবমাননা করা হয়েছে বলে অভিযোগ আনা হয়েছে। পুলিশের অভিযোগ, বিক্ষোভ সমাবেশ চলাকালীন বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার উপরে ইসকনের গেরুয়া পতাকা উত্তোলন করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় দুজনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে।
চিন্ময় দাস ব্রহ্মচারী বাংলাদেশে ইসকন ট্রাস্টের সেক্রেটারি। বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর সাম্প্রদায়িক অত্যাচারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। তিনি বাংলাদেশি হিন্দুদের নিরাপত্তার দাবি করছেন। বাংলাদেশ সরকার তাঁর বিরুদ্ধে চট্টগ্রামে রাষ্ট্রদ্রোহ ও ষড়যন্ত্রের অভিযোগে মামলা করেছে।
যদিও চিন্ময় দাস বলেছেন, সমাবেশের দিন কিছু লোক চাঁদ ও তারার পতাকায় জাফরান পতাকা লাগিয়েছিলেন এবং চাঁদ ও তারার পতাকা বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা নয়। চিন্ময় দাস আজ তককে বলেছেন যে পতাকা উত্তোলনকারী কারা ছিল তা তিনি জানেন না এবং যদি অন্য কোনও উদ্দেশ্য তবে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। তবে আমাদের বিরুদ্ধে এই মামলাটি মিথ্যা। আমাকে আওয়ামি লিগের সমর্থক বলা হচ্ছে। এছাড়াও ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা রিসার্চ অ্যানালাইসিস উইংয়ের সহযোগিতায় বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কাজ করার অভিযোগ সোশ্যাল মিডিয়ায় করা হচ্ছে আমার বিরুদ্ধে।'
প্রথম আলোর প্রতিবেদন অনুসারে, ২৫ অক্টোবর আট দফা দাবিতে চট্টগ্রামের লালদিঘি মাঠে গণসমাবেশ করে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সংগঠন বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চ। ট্রাইব্যুনাল গঠন করে সংখ্যালঘু নির্যাতনের বিচার, সংখ্যালঘু কমিশন সুরক্ষা আইন প্রণয়ন, সংখ্যালঘু মন্ত্রণালয় গঠন এবং দুর্গাপুজোয় পাঁচদিন ছুটি সেই দাবিগুলির মধ্যে অন্যতম। সমাবেশ শেষে ঢাকায় লংমার্চের কর্মসূচির কথা ঘোষণা করা হয়। ওই সমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী। সমাবেশে তিনি বলেন, 'সনাতনীদের বাংলাদেশ থেকে উৎখাতের চেষ্টা হলে পরিণতি ভয়াবহ হবে। সনাতনীদের ওপর যতই নিপীড়ন হবে, আমরা তত বেশি ঐক্যবদ্ধ হব। দাবি আদায়ে বিভাগ ও জেলায় সমাবেশ শেষে আমরা ঢাকা অভিমুখে লংমার্চ করব।'